রাজনীতি

নির্বাচন বর্জন করায় জনগণকে ‘স্যালুট’ মঈন খানের

জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করার কারণে জনগণকে স্যালুট জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

তিনি বলেন, ‘জনগণকে শুধু বিএনপির পক্ষ থেকে না, এই যে ৬২টি দল, আমরা যারা এই প্রহসনের নির্বাচনকে বর্জন করেছে, তাদের সকলের পক্ষ থেকে আমি বাংলাদেশের মানুষকে স্যালুট জানাবো।’

রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে গুলশানে নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের কাছে এই প্রতিক্রিয়া জানান মঈন খান।

তিনি বলেন, বিএনপির ভোট বর্জন আন্দোলন সফল হয়েছে। আওয়ামী লীগের সমর্থকেরাও ভোট দিতে যাননি।

‘বাংলাদেশের মানুষ কখনোই গণতন্ত্রের সাথে আপস করেনি এবং করবে না,’ বলেন তিনি।

মঈন খান বলেন, ‘সরকারের এই নির্বাচনী নাটকের রহস্য সারা বিশ্বের কাছে উন্মোচিত হয়ে গেছে…গত দশ বছরে সরকার গণতন্ত্রকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে আজও শত শত ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি শূন্য।’

২০০৪ সালের নির্বাচনের স্মৃতিচারণ করে তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের আজকে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির কথা মনে পড়ছে। সেদিন আমরা দেখেছিলাম যে ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দেয় না, কুকুর-বেড়াল ভোট দেয়। আজও দেখা দেখা গেছে, বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রের সামনে কুকুর রোদ পোহাচ্ছে। এটিই হল আজকের নির্বাচনের বাস্তবতা।’

তিনি আরো বলেন, ‘অনেকে বলে যে এই সরকার স্বৈরাচারী সরকার, একদলীয় সরকার। আমি বলছি, এটা গণতন্ত্রের ভান ধরা একটি সরকার। যারা ভান ধরে থাকে, তারা স্বৈরাচারী সরকারের চেয়ে আরো অনেক বেশি ভয়ংকর।’

গণতন্ত্র ফিরে আসবে কিনা- এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরে আসবেই, একটু টাইম লাগবে হয়তো।’

বিএনপির ভোট বর্জনের আন্দোলন সফল হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে মঈন খান বলেন, ‘নিশ্চয়ই সফল হয়েছে। আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই, এই আন্দোলন শুধু রাস্তায় দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ যে লগি–বৈঠার আন্দোলন করে, সেই লগি–বৈঠার আন্দোলন আমরা করি না। আমাদের অনেকে অভিযোগ করেছে যে আপনারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আওয়ামী লীগকে সরাতে পারবেন না। কারণ, তারা এমন একটি রাজনৈতিক দল, তাদের যে কার্যপদ্ধতি, তাদের যে বিভিন্ন প্রক্রিয়া… গত ১৫ বছরে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে এক লাখ বানোয়াট মামলা দেয়া হয়েছে, ৫০ লাখ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। পৃথিবীতে ২০০টি দেশ আছে, আপনারা কি দেখাতে পারবেন, যেখানে এ রকম ঘটনা ঘটেছে।’