বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানার পৃথক ৯ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি এসব মামলায় অধিকতর জামিন শুনানির জন্য বুধবার (১০ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সালাহউদ্দিন সোহাগের আদালত এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে এদিন আদালতে মির্জা ফখরুলের আইনজীবী ৯ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন এবং জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, ‘নাশকতার ৯ মামলায় আজ মহাসচিবের (মির্জা ফখরুলের) জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এ সময় তার পক্ষে অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান জামিনের শুনানি করেন।’
তিনি বলেন, জামিন শুনানি করার আগে দেখা গেছে এই ৯ মামলায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার দেখাতে পুলিশ বা কোনো তদন্ত কর্মকর্তা আবেদন করেননি। শুনানির সময় আদালত আসামি পক্ষের আইনজীবীদের জানান, চাইলে তারা (আসামিপক্ষ) এসব মামলায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য আবেদন করতে পারেন।’ পরে এসব মামলায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য তিনি আবেদন করেন। আদালত তাকে এসব মামলায় গ্রেফতার দেখান এবং আগামীকাল জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন।
এর আগে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে একটি গাড়িতে করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মির্জা ফখরুল ইসলামকে হাজির করা হয়।এ সময় তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
এরও আগে গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত ফখরুলের গ্রেফতার ও জামিন শুনানির জন্য ৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে পল্টন থানার আট মামলা ও রমনা মডেল থানার তিন মামলা রয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় গত ২৯ অক্টোবর গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে এ মামলায় কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
অন্যদিকে আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদাল জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরবর্তীতে গত ১৮ ডিসেম্বর পল্টন মডেল থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানোর পর জামিন নামঞ্জুর করে মির্জা ফখরুলকে কারাগারে পাঠানো হয়।