জাতীয়

করোনার নতুন সংক্রামক ভ্যারিয়েন্টে ৫ জন শনাক্ত

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ শনাক্ত হয়েছে বাংলাদেশে। করোনাভাইরাসের নতুন এই উপ-ধরনটি এর আগের যেকোনো উপ-ধরনের চেয়ে বেশি সংক্রামক অর্থাৎ খুব দ্রুত মানুষ আক্রান্ত করতে পারে। ফলে অনেক দেশে জ্যামিতিক হারে বাড়ছে জেএন.১ এর সংক্রমণ।

আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও পাওয়া যাচ্ছে নতুন উপ-ধরনের আক্রান্ত রোগী।

জেএন.১ উপ-ধরন খুব বেশি সংক্রামক হলেও এই ভাইরাস কিন্তু মানুষকে সহজে দুর্বল করে ফেলতে পারে না। ফলে আক্রান্ত রোগীকে খুব কমই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়।

বাংলাদেশে জেএন.১ উপ-ধরনের রোগী পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা: তাহমিনা শিরিন।

তিনি জানান, নমুনা পরীক্ষা করার পর পাঁচজনের মধ্যে জেএন.১ উপ-ধরনের আক্রান্ত হয়েছেন বলে শনাক্ত করা হয়েছে। এই পাঁচজনের বাস ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বলে অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন জানিয়েছেন।

জেএন.১ উপ-ধরনের আক্রান্ত পাঁচজনের কেউই দেশের বাইরে ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেছেন অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন। তিনি জানান, তারা দেশেই ছিলেন।

চিকিৎসকরা বলেছেন, এই পাঁচজনের কেউ দেশের বাইরে না থাকায় এটা বলা যায়, যারা দেশের বাইরে ছিলেন তাদের থেকে ভাইরাসটি এই পাঁচজনের মধ্যে এসেছে। অর্থাৎ নতুন উপ-ধরনের আক্রান্ত আরো অনেকে আছেন যারা হয়তো পরীক্ষা করাননি অথবা তাদের নমুনার জেনোম সিকোয়েন্স করা হয়নি। আরো বেশি নমুনা জেনোম সিকোয়েন্স করা হলে নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তরা আরো বেশি শনাক্ত হতে পারতো।

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৬২ শতাংশই জেএন.১ উপ-ধরনে আক্রান্ত। অন্যদিকে লন্ডনে প্রতি ১৬ জনে একজন এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছে।

এদিকে, করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি বৃদ্ধ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন রোগীদের করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দিয়ে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরও এই শ্রেণির লোকদের টিকা নিয়ে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া সার্জারি করার আগে কেবল করোনা লক্ষণ থাকলে এমন রোগীদের করোনা পরীক্ষা করিয়ে সার্জারি করার পরামর্শ দিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এর আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে ৩৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আক্রান্তদের সবাই ঢাকায় বাস করেন। দেশে করোনা শনাক্তের হার ৪.৯২ শতাংশ।