জাতীয়

প্রতিটি জেলায় বার্ন ইউনিট করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী ১৬ কোটি মানুষের মধ্য থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে আমাকে বেছে নিয়েছেন। আমি কখনো ভাবিনি মন্ত্রী হব। আমার প্রতি সাধারণ মানুষের অনেক প্রত্যাশা। সাধারণ মানুষ যাতে সুচিকিৎসা পায় আমি সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাব।

শুক্রবার সকালে সোনারগাঁ উপজেলার বারদীতে অবস্থিত শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রম পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা আরও উন্নত করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে পারলে শহরে রোগীর চাপ কমে আসবে। বাংলাদেশের অনেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। দেখেছি সেখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবস্থা।

তিনি আরও বলেন, সারা জীবন অন্যায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছিলাম, এখনো আছি। স্বাস্থ্য খাতে কোনো অনিয়ম দুর্নীতি অবহেলা সহ্য করা হবে না। ডাক্তারের অবহেলায় কোনো রোগীর মৃত্যু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে রোগীর স্বজনদেরও মাথায় রাখতে হবে কোনো মৃত্যু হলে হাসপাতালে এসে ভাঙচুর করা সেটিও কাম্য নয়। কী কারণে রোগীর মৃত্যু হলো সেটিও খেয়াল রাখতে হবে। নারায়ণগঞ্জের হাসপাতালে বার্ন ইউনিট খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। চিকিৎসকদের বার্ন চিকিৎসা সম্পর্কে ট্রেনিং দেওয়া হবে। সারা দেশের প্রতিটি জেলায় বার্ন ইউনিট কেন্দ্র করার পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলাদেশ বা বিশ্ব থেকে এখনো করোনা শেষ হয়ে যায়নি। যারা অসুস্থ রোগী তারা জনসমাগম এড়িয়ে চলবেন। নিয়মিত মাস্ক পরিধান করবেন।

এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়সার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপন দেবনাথ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইব্রাহীম, জেলা সিভিল সার্জন ডা. এএফ মুশিউর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা হক, বারদী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রম পরিচালনা কমিটির সভাপতি অশোক কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শংকর কুমার দাস প্রমুখ।