গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে নাগরিক ঐক্য। শনিবার (২০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘প্রহসনের নির্বাচন মানি না, গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর’ শীর্ষক এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে গণস্বাক্ষর।
এ সময় স্বাক্ষর করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ।
অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমাদের গণস্বাক্ষর কর্মসূচি চলমান থাকবে। যতদিন পর্যন্ত এই স্বৈরাচার সরকারের সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা মানুষের কাছে যাবো। এই গণস্বাক্ষর হলো মানুষের কাছে যাওয়ার একটা মাধ্যম।’
তিনি আরো বলেন, যারা লুটপাট করছে তাদের পক্ষে আছে বর্তমান সরকার। এ সরকার জনগণের সরকার নয়। এ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। সরকার জনগণের জানমালের কোনো তোয়াক্কা করে না। ৭ তারিখে ফোর টুয়েন্টি নির্বাচনের পর দুই সপ্তাহ পার হয়েছে, কিন্তু দেশে কোনো জিনিসপত্রের দাম কমেনি।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ভোটবিহীন এই সরকার কোনো দিন জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। এই দেশ সৃষ্টি হয়েছে গণতন্ত্র ও দরিদ্র মানুষের মুক্তির জন্য। যে সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করে এবং সম্পদ কুক্ষিগত করে, সেই সরকার কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে শক্তি হতে পারে?