টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে পুরুষ মুসল্লিদের পাশাপাশি নারীদের অংশগ্রহণও আগের তুলনায় বেড়েছে।
রোববার সকাল থেকে ময়দানের চারপাশের বাসাবাড়ি, বারান্দা, টঙ্গী-কামারপাড়া রোড, স্টেশনরোড, হাজীর মাজার এলাকাসহ বিভিন্ন কারখানার খালি জায়গায় হাজার হাজার নারী বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে শামিল হওয়ার জন্য অবস্থান নিয়েছেন।
পুরুষদের পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সী নারীরা মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে টঙ্গী পৌঁছে মোনাজাতে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থেকে এসেছেন নার্গিস আক্তার (৪০)। তিনি অবস্থান নিয়েছেন টঙ্গী-কামারপাড়া সড়কের নিউ মুন্নু ফাইন কটন মিলস কারখানা এলাকায়।
তিনি জানালেন, লাখ লাখ মুসল্লির সাথে আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে ময়দানের পাশে অবস্থান নিয়েছি। আখেরি মোনাজাতে শরীক হওয়া অনেক সাওয়াবের কাজ।
ঢাকার কেরানিগঞ্জ থেকে এসেছেন শামসুন্নাহার (৪৫)। তিনি জানান, লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে ময়দানের পাশে অবস্থান নিয়েছি।
সিলেট থেকে সিরাতুন্নেসা (৫০) ও ফজিলাতুন্নেছা (৪৫) এসেছেন ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে। তারা জানান, মহান আল্লাহকে রাজি ও খুশি করার জন্য আখেরি মোনাজাতে শামিল হতে এসেছি।
এদিকে টঙ্গীর কলেজগেইট এলাকা থেকে এসেছেন কল্পনা আক্তার (৩০) ও রেবেকা আক্তার (৩৪)। তারা যুগান্তরকে জানান, লাখ লাখ মানুষের সঙ্গে আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করা অনেক সাওয়াবের কাজ। তাই ময়দানের উত্তরপাশে কামারপাড়া রোডে অবস্থান নিয়ে মুরুব্বিদের গুরুত্বপূর্ণ বয়ান শুনছি। আখেরি মোনাজাতের পর বাসায় চলে যাবো।
প্রসঙ্গত, রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় দিল্লির মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন। তার এই আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমা।