পাকিস্তানের নির্বাচনে ফল প্রকাশে দেরির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) দুই কর্মী। এ ছাড়া পার্টির চেয়ারম্যান এবং পাকিস্তানের সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য মহসিন দাওয়ারসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
গতকাল দেশটির খাইবারপাতুনখাওয়া প্রদেশের উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মিরামশাহ সেনানিবাসে বিক্ষোভের সময় পুলিশের গুলিবর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির এনএ-৪০ আসনে ফল প্রকাশে দেরি এবং কারচুপির অভিযোগ তুলে আসনটির প্রার্থী মহসিন দাওয়ারের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল হয়।
স্থানীয় পুলিশ দাবি করেছে, এনডিএমের কর্মী-সমর্থকেরা একটি স্টেডিয়ামের গেটে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যদের ওপর গুলি চালান। এরপর পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। এতে নিহত হন দুই এনডিএম কর্মী। এ ছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য মহসিন দাওয়ারসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের প্রাথমিকভাবে মিরামশাহের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বান্নু শহরে তাদের স্থানান্তর করা হয়। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
অস্ত্রোপচারের জন্য পেশোয়ারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় মহসিন দাওয়ারকে। তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।
মহসিন দাওয়ারের ওপর ‘কাপুরুষোচিত’ হামলার নিন্দা জানিয়ে এ ঘটনায় ইসিপিকে দায়ী করেছেন এনডিএমের প্রাদেশিক চেয়ারপারসন বুশরা গহর। সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘উত্তর ওয়াজিরিস্তানে এনডিএম চেয়ারপারসন মহসিন দাওয়ার এবং দলের কর্মীদের ওপর কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। মহসিন ও এনডিএম কর্মীরা গুরুতর আহত হয়েছেন। এর জন্য ইসিপি দায়ী।’
পরে সামাজিক প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক বিবৃতিতে বুশরা গহর বলেন, ‘আমরা মহসিন দাওয়ার এবং এনডিএমের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন প্রচারকে অস্বীকার করি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, উত্তর ওয়াজিরিস্তানের বাসিন্দাদের ম্যান্ডেট চুরি করা হয়েছে এবং এনডিএম ফলাফল গ্রহণ করবে না। দলটি জনগণের অধিকারের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাবে এবং ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করার অধিকার রাখে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে কর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে এনডিএম। সেই সঙ্গে, হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছে।