গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পক্ষে আংশিক শুনানি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার। শুনানি শেষ না হওয়ায় বিচারক আলী হোসাইন আগামী ৬ মার্চ পুনরায় শুনানি তারিখ ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে অবস্থিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর অস্থায়ী এজলাসে বিচার চলছে। গত বেশ কয়েকটি ধার্য তারিখ ধরে এই মামলার আসামিদের অব্যাহতি দেওয়ার আবেদনের ওপর শুনানি চলছে।
এর আগে, ২০২২ সালের ২৪ জুলাই থেকে আসামিদের অব্যাহতির আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। এর আগে ১৭ জুলাই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে শুনানি শেষ করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মোশারফ হোসেন কাজল।
তার আগে, ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী চারদলীয় জোট সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তাঁর ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় গ্যাটকো কেলেঙ্কারির এই মামলা করেন। পরের বছর ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এই মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেন। মামলার ২৪ আসামির মধ্যে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ৯ জন মৃত্যুবরণ করায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ যারা জামিনে আছেন তাঁরা হলেন—সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এয়ার কমোডর জুলফিকার আলী, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের স্ত্রী জাহানারা আকবর, ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন, গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, সৈয়দ তানভীর আহমেদ, সৈয়দ গালিব আহমেদ, এ কে এম মুসা কাজল ও এহসান ইউসুফ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এএসএম শাহাদত হোসেন, বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এএম সানোয়ার হোসেন এবং বন্দরের সাবেক সদস্য লুৎফুল কবীর।