মিয়ানমারের আরাকান আর্মিদের ঠেকাতে বিমান হামলা চালাচ্ছে সামরিক বাহিনী। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত মংডু শহরের হাদিবি, নলবনিয়াসহ ১০টির বেশি গ্রাম। টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় অসংখ্য বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছে। মিয়ানমারের যুদ্ধের কারণে নতুন করে যাতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড এবং পুলিশ বাহিনী।
সোমবার সকাল ৮টার পর থেকেই মিয়ানমারের ওই অংশ থেকে প্রচণ্ড বোমার শব্দ শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটের খুব কাছ থেকেই শোনা গেছে। শাহপরীর দ্বীপ থেকে সাত কিলোমিটার দুরে হচ্ছে মিয়ানমার। সকাল ৮টার পর থেকে কম হলেও ৩০ থেকে ৪০ এর বেশি বোমার শব্দ এলাকার মানুষ শুনতে পেয়েছে। এপারে কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। মাছ ধরার নৌকা নিয়েও জেলেরো মাছ ধরতে সাগরে যেতে পারছেন না। বোমা কিংবা গোলাগুলির শব্দে শুনতে শুনতে সীমান্তবাসী অভ্যস্ত হয়ে গেলেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। বান্দরবানের সীমান্ত এলাকা ঘুমধুম, তুমব্রু ও উখিয়ার থাইংখালী রহমতেরবিল এবং আনজুমান পাড়া সীমান্তে মর্টার শেল এবং রকেট লঞ্চার ছুটে আসছে। তবে এই শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় কোনো ধরনের মর্টার শেল কিংবা রকেট লঞ্চার ছুটে আসার ঘটনা ঘটেনি। তবে ওপারের গোলাগুলি এবং বোমার শব্দ এখানকার মানুষ শুনতে পাচ্ছেন। ফলে আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এখানকার লোকজনদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্যে তারা প্রস্তুত থাকেন। সবকিছু মিলে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক বলা চলে।
নতুন করে মিয়ানমারের চলমান সঙ্ঘাতময় পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে গোলাগুলির শব্দে রোহিঙ্গাদের আতঙ্ক কমেনি। শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে থেমে থেমে বোমা ও গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে।
সীমান্তের ওপারে যুদ্ধ তীব্র হওয়ায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে সীমান্তে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড নাফ নদীতে টহল অব্যাহত রেখেছে।