আন্তর্জাতিক

সম্পর্কের ‘নতুন অধ্যায়ের’ সূচনা করতে হিজবুল্লাহ সদস্যের আমিরাত সফর

ইরান-সমর্থিত লেবাননি গ্রুপ হিজবুল্লাহর এক সিনিয়র কর্মকর্তা ঐতিহাসিক সফর করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আমিরাতে আটক বেশ কয়েকজন লেবাননি নাগরিকের মুক্তি নিয়ে আলোচনা করার জন্য তিনি এই সফর করেন বলে হিজবুল্লাহর সাথে ঘনিষ্ঠ চারটি সূত্র রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আমন্ত্রণে এই সফর অনুষ্ঠিত হয়। এটি শিয়া মুসলিম সংগঠন হিজবুল্লাহ এবং সুন্নি মুসলিম দেশ আমিরাতের (যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্রও) মধ্যকার দীর্ঘ দিনের বৈরী সম্পর্কে নতুন সূচনা করতে পারে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।

এ ব্যাপারে রয়টার্সের অনুরোধেও কোনো মন্তব্য করেনি আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার আরব মিত্ররা হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী গ্রুপ মনে করে।

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র ওয়াফিক সাফা নামের ওই হিজবুল্লাহ কর্মকর্তার সফরকে আমিরাত ও হিজবুল্লাহর মধ্যে ‘নতুন অধ্যায়’ হিসেবে অভিহিত করেন।

সাফা মঙ্গলবার আমিরাত সফর করেন। তিনি হিজবুল্লাহর লিয়াজোঁ অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন ইউনিটের প্রধান। লেবাননের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সাথে সমন্বয় সাধনের কাজটি তিনি করে থাকেন।

হিজবুল্লাহর সাথে সংশ্লিষ্ট চারটি সূত্র জানায়, আমিরাতই হিজবুল্লাহর সাথে যোগাযোগ করে জানায় যে তারা লেবাননি বন্দীদের মুক্তি দিতে চায়। তাদের অনেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছে।

সূত্র জানায়, হিজবুল্লাহকে সমর্থন ও আর্থিক সহায়তার অভিযোগে এসব লেবাননিকে আটক করা হয়েছিল। তারা জানায়, বন্দীরা আগামীতে ফিরে আসবে।

দুটি সূত্র জানায়, আমিরাত গাজা যুদ্ধের আগে তাদের বার্তা হিজবুল্লাহর কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য হিজবুল্লাহর মিত্র সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদকে অনুরোধ করে। উল্লেখ্য, ইসরাইল ও হিজবুল্লাহ বর্তমানে নিয়মিত গোলা বিনিময় করে থাকে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘আঞ্চলিক উত্তেজনা কিছুটা প্রশমনের জন্য’ এই প্রয়াস চালানো হয়েছে।

জাতিসঙ্ঘ সংস্থার প্রধানকে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেয়া উচিত : যুক্তরাষ্ট্র
ইসরাইলকে জাতিসঙ্ঘ ফিলিস্তিনি সংস্থার (ইউএনআরডব্লিওএ) প্রধানকে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেয়া উচিত।

গাজায় সংস্থার প্রধানকে ঢুকতে না দেয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার এ কথা বলেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ভিড্যান্ট প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেছেন, আমাদের বিশ্বাস ‘ইউএনআরডব্লিওএ’কে গাজাসহ তার সকল কর্মক্ষেত্র পরিদর্শনের সুযোগ দেয়া উচিত এবং আমরা জাতিসঙ্ঘ ও এনজিও কর্মীদের সকল ভিসা আবেদন দ্রুত অনুমোদনের জন্যে ইসরাইলি সরকারের সাথে অব্যাহতভাবে কাজ করতে যাচ্ছি।

ইউএনআরডব্লিওএ প্রধান ফিলিপ্পে লাজ্জারিনি কায়রোয় সোমবার গাজার দক্ষিণাঞ্চীয় রাফা শহরের যাওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু ইসরায়েল তাকে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।
ইসরাইলের অভিযোগ, জাতিসঙ্ঘের এই সংস্থা হামাসের একটি ফ্রন্ট হিসেবে কাজ করছে। এমনকি গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলায় এর কয়েকজন কর্মীও জড়িত ছিল।

এ অভিযোগের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র ইউএনআরডব্লিওএ’কে অর্থ দেয়া বন্ধ করে দেয়। একইসঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখারও আহ্বান জানায়। তবে সংস্থার কাজকে ওয়াশিংটন মূল্যবান বলে বর্ণনা করেছে।
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল এবং এএফপি