জাতীয়

খালেদা জিয়ার কয়লাখনি মামলার অভিযোগ গঠন পেছাল

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামির বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ পিছিয়েছে। আগামী ২৮ মে শুনানির জন্য ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার কেরানীগঞ্জে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আক্তারুজ্জামানের আদালত এই তারিখ ঠিক করেন।

আজ মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার হাজিরা দেন। অপর আসামিদের পক্ষে আইনজীবীরা অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ ঠিক করেন আদালত।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।

খালেদা জিয়া ছাড়াও বর্তমানে এ মামলার অন্য ৯ আসামি হলেন– সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন।

২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।

কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট।