দেশবার্তা

এবার থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি

বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা বান্দরবানের রুমা উপজেলায় মঙ্গলবার রাতে সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনার পর আজ (বুধবার) দিনে থানচি উপজেলায় দু’টি ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় হামলাকারীরা স্থানীয় একটি বাজার ঘিরে রেখে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেছে বলে জানা গেছে।

ঘটনার পর বুধবার ঢাকায় সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান থানচির দু’টি ব্যাংকে হামলার কথা নিশ্চিত করেন। এ সময় রুমায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে (কেএনএফ) দায়ী করেন।

থানচিতে এই ঘটনা এমন সময় ঘটলো যখন রুমা উপজেলা প্রশাসন কমপ্লেক্স ভবনের ব্যাংক থেকে অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তাকে উদ্ধারের জন্য ভোর রাত থেকে যৌথ বাহিনী ওই অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

একই সাথে রুমা উপজেলায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

বান্দরবানের জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে তারা শুনেছেন এবং খোঁজ নেয়া হচ্ছে।

থানচি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান চসা থোয়াই মারমাসহ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে কারা এই হামলা চালিয়েছে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তারা।

ঘটনার খবর শুনে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুনসহ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

থানচির একজন জনপ্রতিনিধি জানান, বেলা সাড়ে এগারটার দিকে সশস্ত্র ডাকাতরা থানচি বাজার ঘিরে ফেলে এবং এরপর অস্ত্রের মুখে লোকজনের ফোন কেড়ে নিয়ে ব্যাংকে ঢুকে পড়ে। এর বাইরে আর কোনো মন্তব্য করতে তিনি রাজি হননি।

যদিও জানা গেছে ব্যাংকে প্রবেশ করে নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্র কেড়ে নেয়ার পর কাউন্টারগুলোতে থাকা এবং গ্রাহকদের কাছ থেকেও টাকা নিয়ে যায় ডাকাতরা।

থানচি বাজারের সাথেই থানা ও বিজিবির ক্যাম্প ছাড়াও কাছেই সেনাবাহিনীর একটি চেকপোস্ট আছে।

স্থানীয়রা অবশ্য বলছে অল্প সময়ের মধ্যেই ভীতিকর অবস্থা তৈরি করে দুই ব্যাংকে হামলা করে ডাকাতদল ওই এলাকা ছেড়ে যায়।
সূত্র : বিবিসি