উত্তাপ টের পাওয়া গিয়েছিল আগেই। এবার সরাসরি আক্রমণের প্রস্তুতি। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ চলাকালীন, আবারো তেতে উঠছে পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি। এবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ইরান। আগেভাগেই যুক্তরাষ্ট্রকে সরে দাঁড়াতে বলল তারা।
এর আগে, সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল, তারই পাল্টা আক্রমণ চালাতে উদ্যত হলো ইরান। ড্রোনের মাধ্যমে অথবা সরাসির ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে তারা ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ওয়াশিংটনের উদ্দেশে লিখিত সতর্কবার্তা জারি করেছে তেহরান। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর জালে পা না দিতে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রকে বার্তা দিয়েছে তারা। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির রাজনৈতিক বিভাগের ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ মহম্মদ জামশিদি যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরে না দাঁড়ালে তারাও আহত হবে।
জামশিদির দাবি, ইসরায়েলে আমেরিকার কোনও শিবিরে যাতে আক্রমণ না হয়, তার অনুরোধ করেছে আমেরিকা। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি এখনও পর্যন্ত। তবে পেন্টাগনের তরফে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে সেদেশের সংবাদমাধ্যম।
জানা গেছে, ইরানের হুঁশিয়ারি নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্রকের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইসরায়েলের মাটিতে যদি আক্রমণ হানে ইরান, তাতে সামরিক এবং গোয়েন্দা ঘাঁটিগুলির পাশাপাশি বহু সাধারণ মানুষেরও প্রাণহানি ঘটবে বলে আশঙ্কা করছে তার সরকার।
পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নিতে পারে আঁচ করেই, আগেভাগে তাই নিজের গরজে যুক্তরাষ্ট্রক ইরানের সঙ্গে কথোপকথন চালায় বলে সেদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। যাবতীয় সংঘাত, শত্রুতা সরিয়ে রেখে সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করা হয় ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে। তাদের কাছে এই হামলার কোনও খবর ছিল না বলে জানানো হয় তেহরানকে।
তবে কূটনৈতিক মহলের দাবি, পশ্চিম এশিয়ায় নিজেদের সেনা এবং সামরিক ঘাঁটিগুলি বাঁচাতেই এই মুহূর্তে মরিয়া যুক্তরাষ্ট্র। তাই নিজের গরজে ইরানের সঙ্গ যোগাযোগ করে তারা।
ইরান জানিয়েছে, হামলার উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে ইসরায়েলকে। পাশাপাশি, লেবাননের হেজবোল্লা সংগঠনও ইসরায়েলকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তাই সরাসরি ইসরায়েলের মাটিতে ইরান আঘাত হানবে, নাকি হেজবোল্লাকে সেই কাজে ব্যবহার করবে, তা নিয়ে দ্বন্দ রয়েছে।
সম্প্রতি সিরিয়ার দামাস্কাসে ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল, তাতে কমপক্ষে সাত ইরানি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ইরানের দুই জেনারেলও ছিলেন। গত কয়েক মাসে আগেও সিরিয়ায় ইরানের একাধিক সম্পত্তির উপর আঘাত হেনেছে ইসরায়েল।