জাতীয়

ঈদ যাত্রা: উৎসবের আমেজে ঘরমুখো মানুষ

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এরইমধ্যে স্বজনদের সাথে আনন্দ ভাগ করে নিতে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে অনেকে। চৈত্রের খরতাপের মধ্যেও, যেন কারও কোনো ক্লান্তি নেই। প্রিয়জনের সাথে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে ছুটতে তারা।

এদিকে, এ বছর মহাসড়কগুলোতে যানজট প্রতি বছরের তুলনায় অনেকটাই কম। এতে স্বস্তিতে যাত্রীরা।

আজ রোববার (৭ এপ্রিল) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঈদ যাত্রার তৃতীয় দিনেও যানজট কিংবা ধীরগতির খবর পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই চলছে যানবাহন। এমনটাই জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।

এ বিষয়ে ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম বলেন, মানুষ খুব স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরছে। খুব কম সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে ভোগান্তি ছাড়াই। মহাসড়ক একরকম ফাঁকা বলা চলে।

ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোথাও যানজট তো দূরে থাক, যানবাহনে ন্যূনতম ধীরগতিও নেই।

এদিকে, ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েসহ পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজা এলাকায় গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা যায়। ভোর থেকে যানবাহনের ধীরগতি দেখা গেলেও যানজট সৃষ্টির খবর পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদের বাকি আছে আর মাত্র ৩ দিন ফলে, এবার ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ৭টি টোল বুথে যানবাহনের টোল আদায় করা হচ্ছে। তবে মোটরসাইকেলের বাড়তি চাপ থাকায় আলাদা লেন তৈরি করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া বাড়ি ফেরা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে সেতু নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা কর্মীরা।

অন্যদিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় এড়াতে ও ওভার ট্রাকিং বন্ধে স্পিড গানের মাধ্যমে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা।

এদিকে যাত্রীদের অভিযোগ, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের টোল আদায় কার্যক্রম ধীর গতিতে চলায় দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। তবে এবার বিগত বছরগুলোর তুলনায় ভোগান্তি নেই বলেও জানান তারা।

এদিকে, মানুষের ভোগান্তি নিরসনে শিগগিরই আধুনিক পদ্ধতিতে স্মার্ট টোল আদায় পদ্ধতি চালু হবে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।

অন্যদিকে, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ট্রেন যাত্রার পঞ্চম দিনে কমলাপুর রেল স্টেশনে যাত্রীর চাপ বেশ বেড়েছে। তবে, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু ব্যবস্থায় ভোগান্তিতে পড়তে হবে না বলে প্রত্যাশা যাত্রীদের।