ইরানের ইসফাহানে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র যে দাবি করেছে তাকে উড়িয়ে দিয়েছে তেহরান।
ইরানের ন্যাশনাল সেন্টার অব সাইবার স্পেসের মুখপাত্র হোসেন দালিরিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা সরাসরি অস্বীকার করেছেন বলে জানায় বিবিসি।
দালিরিয়ান এক্স-এ লিখেছেন, ‘বাইরের সীমান্ত থেকে ইসফাহান বা দেশের অন্য কোনো অংশে কোনো বিমান হামলা হয়নি। তবে ইসরায়েল শুধুমাত্র কোয়াডকপ্টার (ড্রোন) ওড়ানোর একটি ব্যর্থ এবং অপমানজনক প্রচেষ্টা করেছে এবং সেগুলোকেও গুলি করে ধ্বংস করা হয়েছে।’
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তুতে হুমকির কারণে রাতারাতি দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছিল। তবে সরাসরি কোনো প্রভাব বা বিস্ফোরণের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাসহ সমস্ত স্থাপনা নিরাপদ আছে।
ইরানের ইসফাহানে বিস্ফোরণের পর কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলে দেশটির ইসনা নিউজ এজেন্সিকে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা।
ওই কমান্ডার বলেন, সামরিক বাহিনী ওই এলাকায় ‘সন্দেহজনক বস্তু’ লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
এর আগে, ইসফাহানের কাছে কয়েকটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার খবর পাওয়া গেছে।
ইসফাহান প্রদেশের একজন জেনারেলের বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম জানায়, সেখানে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তারা বলেছেন, ইসফাহানে শোনা শক্তিশালী শব্দ সন্দেহজনক বস্তুগুলোতে বিমান প্রতিরক্ষা থেকে গুলি চালানোর কারণে হয়েছিল।
এদিকে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মোহাম্মদ মারান্দি আল জাজিরাকে বলেছেন, ইরানে সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলছে। সোশ্যাল মিডিয়া রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে মারান্দি বলেছেন, ইসফাহানের লোকেরা বলছে সব ঠিক আছে।
এরই মধ্যে ইরানে বিমান চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে। দেশজুড়ে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে দেশটি।