জাতীয়

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘অবাধ ও মুক্ত নীতি’ দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ব্যবস্থাতে যুক্তরাষ্ট্র ‘অবাধ ও মুক্ত নীতি’র বাস্তবায়ন দেখতে চায় বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, ‘অবাধ ও মুক্ত রাজনৈতিক ব্যবস্থা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। সেই সঙ্গে দেশ ও অঞ্চলকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যায়। তাই রাজনৈতিক ব্যবস্থায় অবাধ ও মুক্ত নীতি বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে উৎসাহিত করি।’

ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল (আইপিএস) ও বাংলাদেশের জন্য এর তাৎপর্য নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন দূতাবাসের এই রাজনৈতিক কর্মকর্তা এ কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় তাদের দূতাবাসে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের আইপিএসের ভিন্নতা নিয়ে জানতে চাইলে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, ‘দুই দেশের আইপিএসে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। তবে কিছু ভিন্নতাও রয়েছে। আর এ ভিন্নতার দুই দেশই অঞ্চলকে অবাধ ও মুক্ত হিসেবে দেখতে চায়।’

ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের কোন দেশ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে মনে করছেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘চীনের মতো কয়েকটি দেশ নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এমনকি ভবিষ্যতেও জোর খাটাতে পারে। যেটা দক্ষিণ চীন ও তাইওয়ানের ক্ষেত্রে ঘটেছে। আইপিএসের ক্ষেত্রে আমরা এ ধরনের আধিপত্যবাদী আচরণ দেখতে চাই না।’

ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, ‘আইপিএসের মানচিত্রের দিকে তাকালে দেখবেন বিশ্বের বাণিজ্যের বড় অংশটা হয় এই অঞ্চলজুড়ে। অর্থনৈতিক উন্নয়নও হচ্ছে এই অঞ্চল ঘিরে। তাই বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল অবাধ ও মুক্ত ভবিষ্যৎ, অর্থনীতি এবং সমৃদ্ধির স্বার্থের বিষয়গুলোতেই জোর দেওয়া হচ্ছে।’

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে উল্লেখ করে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, ‘গণমাধ্যমসহ নানা জায়গায় শুনেছি যে, ভারতের লেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে দেখে যুক্তরাষ্ট্র। এটা সত্যি না। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কটা বহুমাত্রিক। আমরা যদি দ্বিপক্ষীয় অভিন্ন স্বার্থের নিরিখে দেখি তাহলেই আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। এটাই আমরা সরকার, গণমাধ্যমসহ সবাইকে জোর দিয়েই বলছি।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটা আমরা দ্বিপক্ষীয় প্রেক্ষাপট থেকেই দেখি। এই সম্পর্ককে আমরা অন্য দেশের লেন্স (দৃষ্টি) দিয়ে দেখি না।’