ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
তিনি বলেন, শুধু ডান-বাম নয়, সবাই প্রকাশ্যে বলছে এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তারা প্রহসনের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন হয়েছে। সেজন্যই সরকার জনগণকে ভয় পায়। কারণ জনগণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য শত শত বছর ধরে আন্দোলন করেছে। আবারও তারা যেকোনো স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াবে।
আজ শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৫ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এর আগে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও বিশেষ মোনাজাত করেন নেতৃবৃন্দ।
ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বিএনপির এই আন্দোলন ক্ষমতায় যেতে নয়, ক্ষমতা কাঠামোর পরিবর্তনের জন্য। তাই বিএনপি সেই লক্ষ্যে রাজপথে আছে এবং রাজপথে থাকবে।
এ সময় বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, জয়নুল আবদিন ফারুক, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, জেড রিয়াজ উদ্দিন খান নসু, রফিকুল ইসলাম জামাল, ওলামা দলের সাবেক আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, ওলামা দলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা কাজী মো. সেলিম রেজা, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাওলানা আবুল হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা ক্বারী গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেইনসহ সাবেক কমিটির শতাধিক নেতাকর্মী।
আবদুল মঈন খান বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নতুন প্রজন্মের মন থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করছে। কিন্তু সরকারের সেই অপচেষ্টা সফল হবে না। কারণ জিয়াউর রহমান এদেশে জাতীয়তাবাদ প্রবর্তন করেছিলেন। তিনি স্বাধীনতাত্তোর তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হওয়া বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পন্ন করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালে সিপাহী জনতার বিপ্লবে দেশের জনগণ দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি কখনো ক্ষমতার জন্য লড়াই করেননি। আমরা শুধু নয়, গোটা দেশের মানুষ তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। তারা দেশে গণতন্ত্র চায়। তারা কখনো একদলীয় বাকশাল শাসন মেনে নেবে না। একদলীয় শাসন থেকে বেরিয়ে আসতে হলে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার বিকল্প নেই।’
