চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানের নিহত পাইলট অসিম জাওয়াদ মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামের ছেলে। তবে তার পরিবার জেলা শহরের গোল্ডেন টাওয়ারে নিজস্ব ফ্ল্যাটে থাকতেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাদের জেলা শহরের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে চলছে শোকের মাতম। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে শোকে বাকরুদ্ধ জাওয়াদের মা।
জানা গেছে, জাওয়াদ চাকরির কারণেই স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ চট্টগ্রামে থাকতেন। তার বাবা ডা: আমান উল্লাহ আর মা নিলুফা আক্তার খানম সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা ছিলেন। রিফাতের স্ত্রী অন্তরার বাবার বাড়ি নারায়ণগঞ্জে।
নিহতের মামা মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক সুরুষ খান বলেন, ‘অসীম জাওয়াদ একজন চৌকস অফিসার ছিল। ছোটবেলা থেকেই বিমানবাহিনীতে যোগ দেবে এমন চিন্তা ছিল তার। সে খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। রিফাতের স্ত্রী এবং ছয় বছর বয়সের মেয়ে আয়জা ও এক বছরের এক ছেলে রয়েছে। পরিবার নিয়ে সে চট্টগ্রামেই থাকতো। পরিবারের একমাত্র সন্তান ছিল জাওয়াদ।’
তিনি আরো বলেন, ‘জাওয়াদের মৃত্যুর খবরে আমার বোন নিলুফা পাগলপ্রায়, বাকরুদ্ধ। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অসিমের স্ত্রী ও দুই সন্তান চট্টগ্রামে রয়েছে।’
নিহতের খালাতো ভাই শিমুল জানান, ‘আজকে সকালের দিকে আমরা জানতে পারি চট্টগ্রামে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণের একটি বিমান বিধস্ত হয়েছে। এর পর থেকেই আমরা খোঁজ নিতে থাকি। পরে দুপুর ১২টার দিকে খবর পাই অসিম জাওয়াদ রিফাত মারা গেছে। রিফাতের বাবা ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন। ছাত্রজীবনে রিফাত কখনো দ্বিতীয় হয়নি। আজকে বিমান দুর্ঘটনার কারণে দেশ একজন মেধাবী অফিসারকে হারালো।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর সাড় ১২টার দিকে পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) পাইলট জাওয়াদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিমান বাহিনীর ইয়াক-১৩০ নামক একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে। পরে চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের অদূরে কর্ণফুলী নদীতে আছড়ে পড়ে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি। এতে অসিম জাওয়াদসহ আরো এক বৈমানিক ছিলেন এবং তিনি আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।