রাজনীতি

বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিষিদ্ধ পল্লী : প্রশ্ন গয়েশ্বরের

বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিষিদ্ধ পল্লী- এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সেখানে সাংবাদিকদের কেনো প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে জিয়া মঞ্চ’র ঢাকা বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রাজনীতি মানেই জনসেবা। নিজের জীবনের জন্য নয়। কিন্তু আজকে রাজনীতি হয়ে গেছে ট্রেডিংয়ের মতো। যেমন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি উপমহাদেশে করেছিল। আজকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে কেন? তারা ব্যবসা করছে। লুট করছে। আজকে আমাদের দেশের টাকা হ্যাক হয়ে যায় কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ জানে না। পাশের দেশে খবর প্রকাশের পর জানতে হচ্ছে। তবে টাকা যে হ্যাক হয়েছে সেটা তাদের চেহারা দেখলেই বোঝা যায়। বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিষিদ্ধ পল্লী? সেখানে সাংবাদিকদের কেনো প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এজন্য সাংবাদিকদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রয়োজনে আমরাও তাদের জন্য নামবো। কারণ সাংবাদিক কোনো দলের জন্য নয়। আজকে সাগর-রুনির মামলার রায় ১০৯ বার পেছানো হয়েছে। এটা তো আরো পেছাবে, তা প্রক্রিয়াটা দেখলেই বোঝা যায়।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন দূরদর্শী নেতা। কারণ ইরাক-ইরান যুদ্ধ নিরসনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। তিনি সার্ক গঠন করেছিলেন। বিভিন্ন দেশে তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল অনন্য।

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা ক্লান্ত কিন্তু হতাশ নয়। আমরা কিন্তু অপেক্ষায় আছি। আমাদের দেশাত্মবোধ তো এমনিতে আসে না। জিয়াউর রহমানের কমিটমেন্ট ছিল বলেই দেশবাসী তাকে অনুসরণ করে। আজকে দেশের স্বার্থে আমাদেরকে আরো লড়াই করতে হবে। যেই লক্ষ্যে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কিন্তু আমরা এখনো পাইনি।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ সংবিধানের দোহাই দেয়। এই সংবিধানে কি লেখা আছে যে, বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপ করা, লুটেপুটে দেশটাকে ধ্বংস করার কথা। মেয়র তাপস বলেছিলেন প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে, সেটা কি কৌতুক? আদালত অবমাননা তো তারাই করে। আর বলছে বিএনপি আদালত অবমাননা করে!

তিনি বলেন, আসুন আমরা আমাদের নেতা তারেক রহমানকে সঠিক তথ্য দিই। তাহলেই কিন্তু সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব। যাতে করে দেশবাসীর জন্য উপকার হয়।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও জিয়া মঞ্চের সভাপতি মো: আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মো: আব্দুর রহিমসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।