গাজার তাল আস-সুলতান এলাকার তাঁবু ক্যাম্পে ইসরাইলের বিমান হামলায় ৪৫ জন নিহতের পর জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডাকা হয়েছে।
মঙ্গলবার আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে এএফপির বরাত দিয়ে জানানো হয়, কূটনীতিকরা জানিয়েছেন- দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের ক্যাম্পে ইসরাইলি হামলার পর মঙ্গলবার জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠক ডেকেছে।
কূটনীতিকরা বলেছেন, আলজেরিয়া (বর্তমানে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য) এই বৈঠক ডাকার অনুরোধ করেছিল। এই বৈঠক রুদ্ধদ্বার হবে। জরুরি ভিত্তিতে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে।
রাফায় ইসরাইলের বিমান হামলার পর হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, এ হামলায় ৪৫ জন নিহত হয়েছেন এবং অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন।
প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, জাতিসঙ্ঘ গুদামের কাছে ছিল ওই তাঁবুর ক্যাম্পটি। সাম্প্রতিক সময়ে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল উদ্বাস্তুদের থাকার জন্য। ইসরাইল রোববার রাতে অন্তত আটটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এখানে।
গাজার সিভিল ডিফেন্স দলের প্রধান ডা: মোহাম্মদ আল-মুঘাইর বলেন, তারা রাফা এলাকার ওই স্থান থেকে আগুনে পুড়ে যাওয়া অনেক লাশ উদ্ধার করেছেন।
এর আগে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানায়, উত্তর-পশ্চিমের বাস্তুচ্যুত লোকদের ওপর ইসরাইল হামলা চালিয়েছে। তারা জানায়, নিহতদের বেশিভাগ নারী ও শিশু।
গুতেরেসের নিন্দা
জাতিসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেল গুতেরেস এই বিমান হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যে নিরপরাধ বেসামরিক মানুষরা সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাদের উপর ইসরাইলের এই কাজের নিন্দা করছি। গাজায় কোনো নিরাপদ জায়গা নেই। এই আতঙ্ক শেষ হওয়া উচিত।’
জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাই কমিশনার ভলকের তুর্ক বলেছেন, ‘ওই শিবির আক্রান্ত হওয়ার পর যে ছবি সামনে এসেছে, তা ভয়ঙ্কর। ইসরাইল যেভাবে যুদ্ধ করছে, তাতে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। রোববারের বিমান হামলা একটা জিনিস বুঝিয়ে দিয়েছে, গাজায় কোনো নিরাপদ জায়গা নেই।’
তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি ইসরাইলের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি, তারা যেন আইসিজে-র নির্দেশ মেনে রাফায় আক্রমণ বন্ধ করে। দুই পক্ষের অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা উচিত।’
গত শুক্রবার ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস (আইসিজে) এই নির্দেশ দিয়েছে।
সূত্র : আরব নিউজ ও রয়টার্স