বাগেরহাট থেকে রুহুল আমিন বাবুঃ সুন্দরবনের করমজলে কুমিরের আক্রমণে মোশাররফ গাজী (৫৫) নামে এক ব্যক্তি মৃত্যু হয়েছে।
নিষিদ্ধ সময়ে বন বিভাগের চোখ ফাঁকি দিয়ে সুন্দরবন থেকে মধু আহরণ করে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার (৮ জুন) দুপুরে পূর্ব সুন্দরবনের করমজল খালপাড়ি দিয়ে যাওয়ার সময় সে কুমিরের হামলার শিকার হয়।
দেড় ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বন বিভাগ ও স্থানীয়রা। কিন্তু এর আগেই তার মৃত্যু হয়। নিহত মধু সংরক্ষণকারী মোশারফ হোসেন খুলনার দাকোপ উপজেলার আমির আলী গাজীর ছেলে।
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই ফরেষ্ট অফিসের এস ও আনিসুর রহমান এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বন বিভাগের চোখ ফাঁকি দিয়ে শনিবার বনে প্রবেশ করে খুলনার দাকোপ উপজেলার ঢাংমারী বন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মোশারফ গাজীসহ আরও তিনজন। এরপর মধু আহরণ শেষে দুপুর ১টার দিকে সাঁতার কেটে করমজল খাল পাড়ি দেওয়ার সময় কুমিরের হামলার শিকার হন তিনি। ওই সময় সঙ্গে থাকা বাকি মৌয়ালরা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে।
খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয় বন বিভাগের কর্মচারীরা। তারা ও স্থানীয়রা প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় কুমিরের মুখ থেকে মৌয়াল মোশারফ গাজীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে ততক্ষণে মোশারফ গাজীর মৃত্যু হয়ে যায়। কুমিরের হামলায় নিহত মৌয়ালের হাত-পা, মুখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে।
ঢাংমারী এলাকার বাসিন্ধা মো. আবুল হোসেন জানান, মূলত বন বিভাগের চোখ ফাঁকি দিতে গিয়ে তারা নৌকা ছাড়া খাল সাঁতরে বনে প্রবেশ করেন। মধু আহরণ শেষে আবার ফেরার সময় খালের মধ্যে মোশারফ গাজীর হাত কামড়ে ধরে কুমির। পরে শরীরের বিভিন্ন অংশে কামড় দেয়। করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটক কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজাদ কবির জানান, নিষিদ্ধ সময়ে মধু আহরণ করতে ৩-৪ জন মৌয়াল বনে প্রবেশ করেছিলো শনিবার দুপুরে ফিরে আসার সময় কুমিরের আক্রমণের মুখে পড়ে।১ টা দিকে মোশারফ গাজীকে একটি কুমির করমজলের গজালমারী খালে টেনে নিয়ে যায়। তিনি জানান, ঘটনার সময় বাকি তিনজন মৌয়াল নদী সাঁতরে পালিয়ে প্রাণে বেঁচে যায় ।তিন ঘন্টা পর করম জলের ভারানি এলাকা থেকে নিহত মৌয়ালের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় ,প্রাথমিক সুরতহাল শেষে তাকে দাকোপ থানা পুলিশ তার মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।