ব্যাটিংয়ে ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরই হতে পারছে না বাংলাদেশ। আগের ৩ ম্যাচের মধ্যে নেদারল্যান্ডস ম্যাচে দেড়শ ছাড়ানো সংগ্রহ তুললেও শ্রীলংকা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অল্প রানেই থেমেছে টাইগাররা। তবে নেপালের বিপক্ষে দলটি ছাড়িয়ে গেছে আগের সব ব্যাটিং ব্যর্থতা।
কিংসটাউনের আর্নস ভেলে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে এখনো পর্যন্ত এটিই বাংলাদেশের সর্বনিম্ন দলীয় ইনিংস। এর আগে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০৯ রানে থেমেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। এছাড়া আগের কোনো ম্যাচেই অলআউট হয়নি বাংলাদেশ, এবারের টুর্নামেন্টে নেপালের বিপক্ষেই প্রথম।
জিতলেই সরাসরি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট, এমন সমীকরণ নিয়ে নেপালের বিপক্ষে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট টসে হেরে ব্যাটিং পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। তবে শুরুটা একদমই ভালো করতে পারেনি টাইগাররা। ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হয়ে ফিরেছেন তানজিদ হাসান তামিম। সোমপাল কামির করা বলে কট এন্ড বল হন তিনি। একই ওভারে আউট দেওয়া হয়েছিল লিটন দাসকেও। তবে রিভিও নিয়ে বাঁচেন তিনি। তবে পরের ওভারে আরও এক উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দিপেন্দ্র সিং আইরির বলে সরাসরি বোল্ড হন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
পাওয়ার প্লের মধ্যে আরও দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ২১ রানে লিটন দাসকে (১০) হারানোর পর ৩০ রানের মাথায় ফেরেন ইনফর্ম ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়ও (৯)। এরপর সাকিবের সঙ্গে ভালোই ব্যাট করছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে ভুল বোঝাবুঝিতে মাহমুদউল্লাহ রানআউট হয়ে ফিরলে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ৫২ রানের মাথায় ১৩ রান করে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। ১২তম ওভারের চতুর্থ বলে ফেরেন সাকিবও (১৭)। রোহিত পউডেলের বলে দলীয় ৬১ রানে আউট হন তিনি। তানজিম হাসান সাকিব বা জাকের আলীরাও কেউ ভরসা হতে পারেননি। দলীয় ৬৯ রানে তানজিমের পর ৭৫ রানে ফিরেছেন জাকের।
বাংলাদেশের আগের বিভিন্ন ম্যাচ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, হুট করে কেউ দাঁড়িয়ে ইনিংস বড় করে দিয়েছেন। নেপালের বিপক্ষে আজ চার-ছক্কা মেরে তেমন একটি সম্ভাবনার জানান দিচ্ছিলেন রিশাদ হোসেন। এর আগে শ্রীলংকার বিপক্ষে বড় রান করার উদাহরণও আছে রিশাদের। তবে চার-ছ আজ আর সেটি সম্ভব হয়নি। দলীয় ৮৮ রানে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে ধরা পড়েন তিনি। তবে শেষদিকে তাসকিনের দৃঢ়তায় এক শ ছাড়ায় বাংলাদেশের দলীয় ইনিংস। ১৫ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন তাসকিন। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটে কাটা পড়েন মোস্তাফিজ। তাতে ৩ বল বাকি থাকতেই ১০৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।