সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আগামীকাল বুধবার আপিল বিভাগে শুনানি হবে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) কোটা নিয়ে রিটকারী পক্ষ নতুন আইনজীবী নিয়োগ করে বিশেষ চেম্বার আদালতে শুনানির আবেদন করে। পরে চেম্বার বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম আগামীকাল শুনানির দিন ধার্য করেন। যেহেতু এখনও পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পায়নি সে হিসেবে বিশেষভাবে চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন।
আদেশের পরে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, তিনি বিষয়টি এখনও জানেন না। তবে এখনও পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়নি।
এর আগে গতকাল অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ বিদ্যমান কোটা বাতিলসংক্রান্ত পরিপত্র নিয়ে করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে লিভ টু আপিল দায়ের করা হবে।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত কোটাপদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করে। এই পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে হাইকোর্টে রিট করেন চাকরিপ্রত্যাশী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল দেন আদালত। আর চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ৫ জুন হাইকোর্ট রায় (রুল অ্যাসলিউট বা যথাযথ) ঘোষণা করেন।
এই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে, যা আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হয়ে ৪ জুলাই আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। রিট আবেদনকারী পক্ষের সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন আপিল বিভাগ নট টুডে (৪ জুলাই নয়) বলে আদেশ দেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলা হয়।
লিভ টু আপিল দায়ের করা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু এটি বিচারাধীন বিষয় এবং আমি সরকারের পক্ষ থেকে মামলাটি করেছি। আমি এ বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না।