আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং কোটা বাতিলের দাবিতে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে ‘প্রগতি সরণি’ সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় তারা ‘পুলিশ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’, ‘কোটা না মেধা মেধা মেধা’, ‘লাঠিসোঁটা, টিয়ার গ্যাস জবাব দেবে বাংলাদেশ’ বলে স্লোগান দেন। প্রায় একই সময়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সড়ক অবরোধ করেন।
পুলিশ জানায়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মেরুল বাড্ডা এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সড়ক স্বাভাবিক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পুলিশ।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াসীন গাজী জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করা হচ্ছে তারা যেন সড়ক অবরোধ ছেড়ে দেন।
কোটা সংস্কারের দাবিতে ১ জুলাই থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ। রাত ৯টা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
এ ছাড়া জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়েও রাতভর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগের হামলা থেকে বাঁচতে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবন চত্বরে আশ্রয় নেয়। সেখানে ছাত্রলীগ তাদের পেটায় এবং পুলিশের সাথেও সংঘর্ষ হয়। পরে হলের শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকে ধাওয়া দেয়।
আজ বেলা ৩টার দিকে সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করবেন শিক্ষার্থীরা।