দেশবার্তা

ফরিদপুরে দুই পুলিশের বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি মামলা

ফরিদপুরের সালথা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ সাদিক ও উপপরিদর্শক (এসআই) তন্ময় চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

আজ বুধবার হাফিজুর রহমান মুন্নু নামের এক ব্যক্তি ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটি করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আসামি সেখ সাদিক চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বারাদি গ্রামের শেখ আমিন উদ্দিনের ছেলে। ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি সালথা থানায় ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আর এসআই তন্ময় চক্রবর্তী রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ভররামদিয়া গ্রামের তাপস চক্রবর্তীর ছেলে। বর্তমানে তিনি বোয়ালমারী থানায় কর্মরত।

মামলার বাদী হাফিজুর রহমান সালথা উপজেলার ভাওয়াল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের একজন অবসরপ্রাপ্ত ডিজিএম।

মামলা সূত্রে জানা যায়, চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর গ্রামে ফিরে বিএনপির রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন হাফিজুর রহমান। তাকে ওসি সেখ সাদিক ও এসআই তন্ময় বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিয়ে বলতেন, আপনি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অনেক টাকা উপার্জন করে গ্রামে এসে রাজনীতি করছেন। এখন আমাদের ২০ লাখ টাকা চাঁদা দিবেন। নইলে শান্তিতে থাকতে পারবেন না। তিনি চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত বছরের ১১ মার্চ রাতে তাকে আটক করেন আসামিরা। এ সময় ২০ লাখ টাকা না দিলে থানায় নিয়ে নির্যাতন ও হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন তারা।

তিনি প্রাণ ভয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা দেন। এরপরও আসামিরা তাকে থানায় নিয়ে রাতভর অমানবিক নির্যাতন করেন। পরের দিন বিস্ফোরক মামলায় আদালতে চালান দেন।

হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ক্রসফায়ারের হুমকি দেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘদিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পাই। তবে ভয়ে আদালতে মামলা করতে পারিনি। এখন দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসায় এবং অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় মামলা করেছি।’

বাদীপক্ষের আইনজীবী মামুন অর রশীদ বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।