বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুরে গুলিতে সাজ্জাদ হোসেন নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা ছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব, সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খানকেও আসামি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী জিতু বেগম বাদী হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত কোতোয়ালিতে মামলাটি করেন। মামলার বিষয়টি তিনিই সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় ওই তিনজন ছাড়াও সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক পর্যটন ও বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী অপু উকিলকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। মামলায় ৫১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আবেদনে বলা হয়, নিহত সাজ্জাদ হোসেন একজন ব্যবসায়ী। গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুর নগরীর রাজা রাম মোহন মার্কেটের সামনে ১ থেকে ১০ নম্বর আসামির নির্দেশে অন্য নামীয় ও অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়। এ সময় সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে তার মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়ার পথে আসামিদের বাঁধার মুখে পড়েন বাদী। পরে বাধ্য হয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ দাফন করা হয়।