ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জহিরুদ্দিন বাবরকে জুতার মালা পরিয়ে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাকে মারধরও করা হয়।
বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ ফুলার রোডের স্টাফ কোয়ার্টারের একটি বাসা থেকে তাকে ধরে নিয়ে আসে একদল শিক্ষার্থী। পরে রাত ১২টার দিকে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়।
জহিরুদ্দিন বাবর ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের কর্মচারী অমিত সরকারের বাসায় লুকিয়ে ছিলেন বাবর। খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা সে বাসায় গিয়ে তাকে খুঁজে পান। এ সময় ওই কর্মচারীকেও মারধর করা হয়।
ঘটনায় জড়িত কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, হলে থাকাকালে বাবর জুনিয়র শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করতেন। তার প্রতি শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ ছিল। হলে থাকতে অনেক শিক্ষার্থীকে নানাসময়ে ট্যাগ দিয়ে হল থেকে বের করে দিয়েছিলেন বাবর।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার এসআই আশরাফ উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীরা দুজনকে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। মামলা হলে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ১৫ জুলাই কোটা সংস্কারের আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের হামলায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর প্রত্যেক বিভাগে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বয়কট করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাদেরকে হলছাড়া করা হয়। এরপর আন্দোলনের পুরো সময়জুড়ে আওয়ামী লীগের সপক্ষে থাকা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ৫ আগস্টের পর কেউ ক্যাম্পাসে আসেননি। অজ্ঞাত স্থানে লুকিয়ে আছেন অনেকে।