বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নামে হত্যা মামলা নিয়ে সারাদেশে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বেশিরভাগ ক্রিকেটার ও ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দাঁড়িয়েছেন সাকিবের পাশে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল অন্তর্বতীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের কাছে।
সাকিবের নামে মামলার প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল তুলে এনেছেন আমিনুল হকের কথা। জাতীয় দলের সাবেক এই ফুটবলার আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনীতি করায় তাকে জেলে যেতে হয়েছিল। আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমিনুল যে ফুটবলার! সাকিব তো বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য কিছু বয়ে আনে নাই। সাকিব নিজেই অনেক কিছু অর্জন করেছে। আমিনুল তো বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য পুরস্কার বয়ে এনেছে। বয়ে এনেছে না! জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিল। আমিনুলকে যেভাবে অত্যাচার করা হয়েছিল তখন কি আপনারা প্রশ্ন করেছিলেন? আমিনুলকে তো জেলে ভরা হয়েছে। সাকিবের বিরুদ্ধে শুধু মামলা হয়েছে। তারপরও এটা পুলিশ-প্রশাসনের ব্যাপার। আমরা যতটুকু বলার, বলার চেষ্টা করেছি। মামলা বা এফআইআর হওয়া মানে তো গ্রেপ্তার না। আমার বিশ্বাস, আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে যাতে অতি উৎসাহী হয়ে গ্রেপ্তার না করতে যায়।’
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমিনুলকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছে, দিনের পর দিন তাকে জামিন দিচ্ছিল না। … সাফ গেমসে তার অধিনায়কত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। গ্রেপ্তার হয়েছিল সে। দিনের পর দিন জামিন বাতিল হয়েছে তার। সাকিবের বিরুদ্ধে তো শুধু মামলা হয়েছে। আমি আশা করি সাকিব গ্রেপ্তার হবে না।’
গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এই আমলে মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন সাকিব। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ২২ আগস্ট রাতে সাকিবের নামে একটি হত্যা মামলা হয়। গত ৫ আগস্ট গার্মেন্টসকর্মী রুবেলকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে ডিএমপির আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলায় দায়ের হয়েছে। সাকিব আল হাসানকে মামলার ২৮ নম্বর এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে।
যদিও গত ৫ আগস্ট রুবেল নিহত হওয়ার সময় সাকিব কানাডায় ছিলেন। সে সময় কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে খেলছিলেন তিনি। এমনকি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পুরো সময়েই দেশে ছিলেন না সাকিব। তাই, তার সতীর্থরা মনে করছেন, সাকিবের বিপক্ষে এই মামলার যৌক্তিকতা নেই।