জাতীয়

জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের আদেশ বাতিল হলো যেভাবে

জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে জারি করা আদেশটি প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের এ কথা জানান শিশির মনির। তিনি বলেন, ‘কিছুক্ষণের মধ্যেই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।’

আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ সকল অঙ্গ সংগঠনকে গত ১ আগস্ট তৎকালীন সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা মর্মে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। গত ২২ আগস্ট নিষিদ্ধের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারির স্বাক্ষরিত একটি দরখাস্ত নতুন সরকারের কাছে দেওয়া হয়। এই দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে ডিজিএফআই, এনএসআই এবং এসবির রিপোর্ট তলব করা হয়। তিনটি সংগঠন থেকে রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়। এই তিনটি সংগঠন জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার যে অভিযোগ করা হয়েছে এই মর্মে তদন্ত সাপেক্ষে কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রিভিউ কমিটি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কোনো সম্পৃক্ততা পায়নি। এ কারণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টা বসে জামায়াত নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতোমধ্যে ওই প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে এ বিষয়ে আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।’

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ (১) ধারা অনুযায়ী জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে। কিন্তু এর পরই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতন হয়। গত ৫ আগস্ট থেকে জামায়াত প্রকাশ্যে তৎপরতা চালাচ্ছে এবং সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বৈঠকসহ সব কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে।

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৯ ধারা অনুযায়ী, সরকার কোনো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করলে, এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৩০ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে যুক্তি উপস্থাপন করে পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে। যা শুনানি করে ৯০ দিনের মধ্যে আবেদন নিষ্পত্তি করবে সরকার।