বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম বেড়েছে। স্থান ভেদে প্রতি ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬৫ টাকায়। ডিমের পাশাপাশি কিছুটা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দামও। তবে সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দুল প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ২৫০-২৭০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৫০ টাকা, আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা এবং কাঁকরোল প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আগের সপ্তাহের তুলনায় বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১০ টাকার মতো বেড়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১৬০-১৭০ টাকা; যা আজ ১৭০-১৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর সোনালি মুরগির দাম ২৬০-২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া গরুর মাংস বাজারভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়, আর খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।
মাছের বাজারে দেশি কৈ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, হাইব্রিড কৈ ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা, শিং ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, রুই ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, সরপুঁটি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, পাবদা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা ও তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে মিনিকেট চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭২ টাকায়, আটাশ চাল ৫৭-৫৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৬-৫৮ টাকা কেজি। এছাড়া জিরাশাইল বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকায়, নাজিরশাইল ৭১-৭৩ টাকা, কাটারি নাজির ৭৭-৭৯ টাকায়, কাটারি আতপ চাল ৬৬-৬৮ টাকা কেজি, চিনিগুড়া মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭৭-১১৫ টাকায়।
এদিকে, দেশের বেশির ভাগ বন্যাকবলিত এলাকায় পানি নামতে শুরু করেছে। বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে ওই সব জেলায় সবজি, মুরগি, ডিমসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছিল। যদিও গত তিন দিনে অধিকাংশ পণ্যের সরবরাহ ও দাম প্রায় স্বাভাবিক অবস্থায় চলে এসেছে।
যেমন বন্যার মধ্যে চট্টগ্রামে কাঁচা মরিচের দাম প্রতি কেজি ১ হাজার টাকায় উঠেছিল, যা গতকাল ২০০-২৫০ টাকায় নেমে আসে। একইভাবে টমেটোর কেজি ৩৫০ থেকে কমে ১৮০-২০০ টাকা হয়েছে। তবে চট্টগ্রামে অন্যান্য সবজির দাম বন্যার আগের সময়ের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকার মতো বেশি রয়েছে।
এ ছাড়া ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর অনেক এলাকা এখনো ডুবে রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে এসব এলাকার হাটবাজারে বেচাকেনা বন্ধ আছে। যেসব এলাকায় বন্যার পানি কমেছে, সেখানে বেচাকেনা শুরু হলেও দাম স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি।