খেলাধুলা

পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে টাইগারদের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের ইতিহাস আগের টেস্টেই গড়েছিল বাংলাদেশ। হাতছানি ছিল সিরিজ জয়ের। যেখানে এবার পাকিস্তানকে তাদেরই মাঠে ক্রিকেটের অভিজাত এই ফরম্যাটে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করার অনন্য কীর্তি গড়ল টাইগাররা। রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

বাংলাদেশ নিজেদের ২৪ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এ নিয়ে চতুর্থবার প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করল। বাংলাদেশ এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুবার ও জিম্বাবুয়েকে একবার হোয়াইটওয়াশ করেছে টেস্ট সিরিজে। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২–০ ব্যবধানে হারিয়েই দেশের বাইরে প্রথম টেস্ট সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। ৯ বছর পর ২০১৮ সালে দেশের মাটিতে আবার ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করার আগে ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়েকে ৩ ম্যাচ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় টেস্ট জিততে বাংলাদেশকে গতকাল সোমবার চতুর্থ দিন ১৮৫ রানের লক্ষ্য দেয় স্বাগতিক পাকিস্তান। বাংলাদেশের দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম শুরু করেন দুর্দান্ত। বাংলাদেশও স্বপ্ন পূরণের পথে এগোতে থাকে। তবে রাওয়ালপিন্ডিতে চতুর্থ দিনের শেষ ঘণ্টার খেলা আলোকস্বল্পতায় ও বৃষ্টিতে পণ্ড হয়। তাতে স্কোরবোর্ডে বিনা উইকেটে ৪২ রান তুলে দিন শেষ করে সফরকারীরা। আজ মঙ্গলবার পঞ্চম ও শেষ দিনে জয়ের জন্য ১৪৩ রান দরকার ছিল।

ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন জাকির হাসান। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান তুলছিলেন এই ওপেনার। তবে আজ ইনিংসটাকে আর লম্বা করতে পারলেন না তিনি। মির হামজার বলে ৩৯ বলে ৪০ রানে থাকা জাকিরের স্টাম্প ভাঙে। সকালের শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ।

জাকির হাসানের পর আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম আউট হন। ৫১ বলে ২৪ রান করা এই বাঁহাতি খুররম শাহজাদের বলে শান মাসুদকে ক্যাচ দেন।

লাঞ্চের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। সালমান আলি আঘার সাদামাটা এক ডেলিভারিতে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৫ চারে ৮২ বলে ৩৮ রান করেন শান্ত। তার বিদায়ে ভাঙে ৫৭ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

এরপর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে দারুণ জুটি আভাস দিচ্ছিলেন মুমিনুল হক। তবে হুট করেই অতি আগ্রাসী শট খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন মুমিনুল। আবরার আহমেদের বলে ক্রিজ ছেড়ে মারতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ দিয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ৪ চারে ৭১ বলে ৩৪ রান করেন মুমিনুল।