খুলনায় ফেসবুকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে গণপিটুনির শিকার উৎসব (২২) নামের হিন্দু যুবক মারা যাননি। তিনি বর্তমানে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন।
আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
এর আগে গতকাল বুধবার খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) উপকমিশনারের (দক্ষিণ) কার্যালয়ে তাকে গণপিটুনি দেয় উত্তেজিত জনতা। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, ঘটনাস্থলেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি দিল আইএসপিআর।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪ সেপ্টেম্বর জনৈক শ্রী উৎসব মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটূক্তিমূলক পোস্ট করায় স্থানীয় জনগণ তাকে আটক করে কেএমপি উপকমিশনারের (দক্ষিণ) কার্যালয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপস্থিত হয়। পরবর্তী সময়ে উক্ত স্থানে ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার স্থানীয় জনগণ উপস্থিত হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং উক্ত ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে শাস্তি প্রদান করার জন্য আন্দোলন করতে থাকে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় কিছু উচ্ছৃঙ্খল জনতা কেএমপি উপকমিশনারের (দক্ষিণ) কার্যালয়ে প্রবেশ করে উক্ত ব্যক্তির ওপর আক্রমণ চালায়। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের আপ্রাণ চেষ্টায় তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তিনি সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তিনি আশঙ্কামুক্ত।
আইএসপিআর আরও জানায়, ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত প্রদানের কারণে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং তার সুস্থতা সাপেক্ষে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে সর্বদা সচেষ্ট। এক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত উক্ত ব্যক্তির মৃত্যু সংক্রান্ত গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য জনগণকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।