ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় চট্টগ্রামের রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে আটক করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর এলাকায় থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময়ভারতে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন নুরপুর এলাকার একাধিক মামলার আসামি হান্নান মিয়া মেম্বার ও আব্দুল্লাহপুর এলাকার কবির ভুঁইয়ার ছেলে নাঈম মিয়া।
ফকিরমোড়া বিউপির কমান্ডার জামাল উদ্দিন জানান, ভারতে পালিয়ে যাবে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পরে সীমান্তের আব্দুল্লাহপুর এলাকা থেকে অবৈধ পথে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ওই সাবেক এমপিসহ দুই সহযোগীকে আটক করা হয়।
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ও রাউজানে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিএনপির প্রার্থী চাচাতো ভাই গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৫ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী চাচাতো ভাই গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য মনোনীত হন। দশম জাতীয় সংসদে তিনি রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য মনোনীত হয়ে তিনি রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোনীত হন।
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।