পঞ্চদশ সংশোধনী বধৈতার বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানির জন্য আগামী ৩০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরে বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ২০ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলসহ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বা অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (২১ অক্টোবর) এ রুল দিয়েছিলেন।
রিটে পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা ও সাংবিধানিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। সেদিন আট সপ্তাহের মধ্যে সরকারের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, লেজিসলেটিভ বিভাগের সচিব এবং সংসদ সচিবালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ-সংক্রান্ত রুলের জবাব দিতে বলেন আদালত।
তবে বিচারপতি নাঈমা হায়দারকে ছুটিতে পাঠানোয় ওই বেঞ্চে আর রুল শুনানি করা যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৩০ জুন তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আনা হয়। এই সংশোধনীতে শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতিও দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বাতিল করা হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। এ ছাড়া জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়।