টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোনলের সমন্বয়ক দাবিকারী মাহির ফয়সালকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে মাহিরের মা শামীমা আক্তারের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া মাহির নাগরপুর সদর ইউনিয়নের দুয়াজানী গ্রামের মো. আরিফুল ইসলামের ছেলে। মাকে মারধর ও সমন্বয়ক পরিচয়ে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজীর অভিযোগ আছে মাহির বিরুদ্ধে।
পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাহির এলাকার বাজে ছেলেদের সঙ্গে মিশে প্রায় সময় নেশা করে বাড়ি আসেন। সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ান তিনি। এ বিষয়ে মাহিরকে তার মা শামীমা আক্তার বাঁধা দিলে মাহির অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মাহির বাড়ি গিয়ে তার মাকে কাঠের চলা দিয়ে বেদম মারধর করেন। এক পর্যায়ে মাহির বটি দিয়ে তার মাকে খুন করার জন্য তাড়া করেন। শামীমা আক্তার ভয়ে দৌড়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নেন।
এ বিষয়ে মাহিরের মা নিজে বাদী হয়ে ছেলের বিরোদ্ধে নাগরপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন। এদিকে, মাহির নিজেকে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে নাগরপুর বাস স্ট্যান্ডের এক কলা ব্যবসায়ীর কাছে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।চাঁদা না দেওয়ায় শুভ মিয়া নামের ওই ব্যবসায়ির কপালে কাস্তে দিয়ে কোপ দেয়ে রক্তাক্ত করেন। এ ঘটনায় আহত শুভর ভাই মো. সবুজ মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দেন।
নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মাহির ফয়সাল তার মাকে মারধর করেন। মাহিরের মা শামীমা আক্তার বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মাহির ফয়সালকে আটক করে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।