পাবনার ঈশ্বরদীতে এক যুবলীগকর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর মোড় সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবলীগ নেতার নাম ওয়ালিফ হোসেন মানিক। তিনি পাকশী দিয়ার বাঘইল (রূপপুর মোড়) এলাকার ইউনুস আলীর ছেলে ও পাকশী ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী ছিলেন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, ২০২৩ সালের ১৭ জুন রাত ১১টার দিকে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা গ্রামের এমপি মোড়ে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন হাতকাটা টুনটুনির ছোট ভাই ও ছাত্রলীগকর্মী তাফসির আহম্মেদ মনা (২৪)। সেই মামলার আসামি ছিলেন পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও বর্তমানে যুবলীগকর্মী ওয়ালিফ হোসেন মানিক। গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন তিনি। ২০ দিন আগে হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর কারাগার থেকে বের হয়েছেন।
নিহত মানিকের বাবা ইউনুস আলী বলেন, আজ সোমবার সেই মামলায় আদালতে হাজিরার তারিখ ছিল। মানিক সকালে আমার কাছে টাকা চাইলো আদালতে যাওয়ার জন্য। সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় যাওয়ার পরপরই ৮ থেকে ১০ জন এসে তাকে প্রথমে গুলি করে। এরপর সে পড়ে গেলে তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। নিহত মানিক যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, ঈশ্বরদীর রূপপুর মোড় এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে অভ্যন্তরীণ বিরোধ চলে আসছে।
সেই বিরোধের জেরে ২০১৫ সালের ১ জুন বিকেলে রূপপুর মোড় এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সৌরভ হোসেন টুনটুনি (২৬) নামের ছাত্রলীগের এক কর্মীর বাম হাত কেটে নেয় প্রতিপক্ষ। তারপর থেকে স্থানীয়ভাবে তার নাম হয়ে যায় হাতকাটা টুনটুনি। সেই ঘটনার পর ২০২৩ সালের ১৭ জুন রাতে লক্ষীকুন্ডা গ্রামের এমপি মোড়ে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হন সৌরভ হোসেন টুনটুনির ছোট ভাই আরেক ছাত্রলীগকর্মী তাফসির আহম্মেদ মনা।