Uncategorized

চিৎকার করে জিয়াউল আহসান বললেন, ‘আমি কখনোই আয়নাঘরে চাকরি করিনি’

আয়নাঘরে’ কখনো চাকরি করেননি বলে দাবি করেছেন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক, সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল পদ থেকে বরখাস্ত হওয়া জিয়াউল আহসান। আজ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুনানি শেষে প্রিজনভ্যানে ওঠার সময় সাংবাদিকের উদ্দেশে চিৎকার করে এ দাবি করেন তিনি।

আজ দুপুর দেড়টার দিকে জিয়াউল আহসানকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে বের করা হয়। ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এ সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা জিয়াউল আহসানকে হাত নামাতে বলেন। পরে পুলিশ সদস্যরাই তার হাত ধরে তা নামিয়ে দেন।

এরপর প্রিজনভ্যানের দিকে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে জিয়াউল আহসান বলেন, ‘আমি কখনোই আয়নাঘরে চাকরি করিনি।’ প্রিজনভ্যানে উঠেও তিনি একই কথার পুনরাবৃত্তি করেন।

তবে জিয়াউল আহসান এমন দাবি করলেও আজকে শুনানিতে তাকে বসনিয়া-হার্জেগভনিয়ার ‘কসাই’খ্যাত রাদোভান কারাদজিচের সঙ্গে তুলনা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

আজ জিয়াউল আহসান ছাড়াও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ আটজনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে তাদের কারাগারে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৯ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়।

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।