অপরাধ

দুই-চারটাকে মেরে ৫০ কোটি টাকায় রফার হুমকি আসামির!

আশুলিয়ায় গাড়িকে সাইড দেওয়াকে কেন্দ্র করে চিকিৎসক দম্পতিকে সড়কে মারধর ও জখমের ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামি জামাল দেওয়ান (৪৫) পুলিশের সামনেই প্রকাশ্যে বললেন, ‘দুই-চারটা মার্ডার করলেও সমস্যা নাই।’ আজ শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে আশুলিয়া থানার থেকে প্রিজনভ্যানে উঠানোর সময় গণমাধ্যমকর্মীরা ছবি তুলতে গেলে পুলিশের সামনেই এমন মন্তব্য করেন গ্রেপ্তার জামাল দেওয়ান।

তিনি বলেন, ‌’মার্ডার করছি নাকি? দুই-চারটা মার্ডার করলেও সমস্যা নাই। দুই-চার-পঞ্চাশ কোটি টাকার ক্ষেমতা (ক্ষমতা) আছে।’ এর আগে শুক্রবার রাতে তাকে আশুলিয়ার কুটুরিয়া এলাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় শুক্রবার রাতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী চিকিৎসক ভুক্তভোগী ডা. আজহারুল ইসলাম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাত ৮টার দিকে নিজস্ব প্রাইভেটকারযোগে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন আজহারুল ইসলাম। এ সময় সাইড দিতে গিয়ে রকি দেওয়ান নামের এক যুবক তার প্রাইভেট কারে ধাক্কা দেন। পরে সেই যুবকের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ার একপর্যায়ে পাশের একটি খাবারের হোটেল থেকে ছুরি এনে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকেন চিকিৎসক দম্পতিকে। এ সময় পাশে থাকা বখাটে রকির বাবা জামাল দেওয়ান ও চাচা কামাল দেওয়ান লাঠি দিয়ে চিকিৎসক দম্পতিকে মারধর করতে থাকেন। এতে চিকিৎসক আজহারুল ও তার স্ত্রী-সন্তানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। পড়ে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ মামলার ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ২ নম্বর আসামি জামাল দেওয়ানকে গ্রেপ্তার করলেও মূলহোতা তার ছেলে রনি দেওয়ানসহ কামলা দেওয়ান নামে দুইজন পলাতক রয়েছে।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এস আই ফরহাদ বিন করিম বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, প্রধান আসামি রকি নেশাগ্রস্ত। ছয় মাস আগে রিহ্যাব সেন্টার থেকে এসেছে। তার বাবা জামাল দেওয়ানের ব্যাটারিচালিত কয়েকটা অটোরিকশা আছে। সেগুলো দেখভাল করে ও তার একটি বাড়ি আছে, সেখান থেকে ভাড়া পায়।’ প্রকাশ্যে হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, তারা মূলত উগ্র প্রকৃতির। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে ও মূল আসামিকে গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।