চীন ও ভারতের সঙ্গে বৃহৎ পরিসরে সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনে হামলার কারণে যখন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। ঠিক এমন সময়ই মার্কিন চেষ্টাকে পাশ কাটিয়ে এই সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া। খবর এনডিটিভি।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে জাপান সাগরে ‘ভোস্টক-২০২২’ শিরোনামে শুরু হওয়া এই মহড়ায় দেশগুলোর বিমান এবং নৌবাহিনীও অংশ নেবে। সপ্তাহব্যাপী চলা এই মহড়ায় ১৪০টির অধিক বিমান, ৬০টি যুদ্ধ জাহাজ, ৫ হাজারের অধিক সামরিক সরঞ্জাম এবং ৫০ হাজারের অধিক সেনা অংশ নিয়েছে।
মূলত এই সামরিক মহড়া সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা এবং সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের রাশিয়ান নেতৃত্বাধীন যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি সংস্থার সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে আবারও একত্রিত করেছে।
এদিকে ভারতকে নিজেদের প্রতিরক্ষা অংশীদার করতে এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার ওপর আরোপিত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো খর্ব না করার জন্য তাগিদ দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পরিস্থিতে দিল্লি এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে। তবে মহড়ার জন্য সেনাবাহিনীর ছোট একটি দল পাঠিয়েছে দেশটির সরকার। এর মধ্যে গুর্খা সৈন্য এবং নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি রয়েছে। তবে এই দলে কি পরিমাণ নৌ-বিমান বাহিনীর সদস্য ও সরঞ্জাম অংশ নিচ্ছে তা জানায়নি ভারত।
এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির সেনাবাহিনী, বিমান ও নৌ বাহিনী এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। উভয় দেশের মধ্যে সামরিক সমন্বয় জোরদার করাই এই মহাড়ার লক্ষ্য।
এদিকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সমর্থিত গ্লোবাল টাইমস বলেছে, সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলা করার জন্য চলতি বছরের অনুশীলনগুলো করা হচ্ছে। বিশেষ করে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি থেকে।