এশিয়া কাপে স্মরণী হয়ে থাকবে এ ম্যাচটা। ১৯ ওভারে ৯ উইকেট হারানো পাকিস্তান ১০ম জুটিতে ৪ বল না খেলেই জয় তুলেছে ১ উইকেট। ভাগ্যের জোরে জয় পেল পাকিস্তান। তবে আফগানরা যেভাবে বোলিং আর ফিল্ডিং করেছে তাতে জয়টা আফগানদের পাওনা ছিল। আসলে আজ আফগানদের ভাগ্যটা সঙ্গে ছিল না। তা নয় তো এই ম্যাচে হারের কথা ছিল পাকিস্তানের। পাকদের এই জয়ের ফলে ভারতের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল।
বাংলাদেশ সময়ে রাত সাড়ে ১১টা, আফগান পেসারের ১৯.২ ওভারের বলটি সোজা ব্যাটে পাকদের শেষ ব্যাটসম্যান নাইম শাহ তুলে দিলেন। বল বাসাতে ভেসে সোজা মাঠের বাইরে, ১ উইকেট জয় পেয়ে গেল পাকিস্তান। কিন্তু শত ভাগ নিশ্চিত ছিল আফগানরা জয় পাচ্ছে।
হারতে বসা পাকিস্তানের নাইম শাহ্ হাতের গ্লাভস খুলে মাটিতে আছাড় মারলেন, পাক ড্রেসিং রুম থেকে সব ক্রিকেটার মাঠে দৌড়ে এসে আনন্দ চেয়ে ক্ষোভে ফেঁটে পড়ল। এ এক অন্য রকম দৃশ্যের অবতারণা হলো এশিয়া কাপ ২০২২-এ।
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ আফগানদের মুখোমুখি হয়। টস জিতে আগে বল হাতে তুলে নিয়ে পাকিস্তান আফগানদের অল্প রানে আটকাতে পারলেও আফগান বোলারদের ঠিক ভাবে সামাল দিতে ব্যর্থ হয়।
১৩০ রানের টার্গেটে ১৮ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৯ জমা করে। ১২ বলে তখন ২১ রান দরকার। রীতিমতো কাঁপন ধরিয়ে দিয়ে ছিল আফগান বোলাররা। ১৯ ওভারে ১ম বলেই ৮ম উইকেট পতন ঘটে, শেষ ১০ বলে দরকার ছিল ২০ রান।
আসিফ আলী বিশাল ছয় মেরে আশা জাঁগিয়ে তোলেন, কিন্তু ১৮.৫ ওভারে ক্যাচ দিলে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনের কোমড় ভেঙ্গে যায়। ৯ উইকেটে ১১৮, ১৮.৫ ওভার। ১৯ ওভারে স্কোর ১১৯, শেষ ৬ বলে জয় পেতে হলে দরকার ১১ রান। আর হাতে তো মাত্র ১টি উইকেট, কঠিন কাজ। কিন্তু ২০ ওভারের ১ম বলেই ছক্কা মারলেন শেষ জুটির নাইম শাহ, শেষ ৫ বলে ৫ রান দরকার। নাইমের পর পর দুই ছক্কার মার দিয়ে ৪ বল না খেলেই পাকিস্তান হেরে বসা ম্যাচ জিতে নেয়।