স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে বরাবরই সৌদি আরব থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশের অর্থনীতির টালমাটাল পরিস্থিতেও প্রবাসীদের পাঠানো বিদেশি মুদ্রায় পথ হারায়নি বাংলাদেশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী গত আগস্ট মাসেও সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন সৌদি প্রবাসীরা।
তবে রেমিট্যান্স পাঠাতে গিয়ে তাদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে সৌদি সরকারের নির্দিষ্ট পরিমাণের সীমাবদ্ধতা থাকায় একজন প্রবাসী চাইলেই দেশে বেশি অর্থ পাঠাতে পারেন না। এ কারণে সৌদি আরবে বাংলাদেশের ব্যাংকিং পরিষেবা বাড়ানোর আহ্বান প্রবাসীদের। এ ছাড়া ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় বলেও অভিযোগ তাদের।
এদিকে বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রতিবন্ধকতা দূর না হলে অনেকে অবৈধ হুন্ডির পথ বেছে নিতে পারেন বলে শঙ্কার কথা জানান প্রবাসীরা। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশি কর্মীর বড় বাজার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব। বর্তমানে ২২ লাখের মতো বাংলাদেশি সৌদি আরবে কর্মরত আছেন।কষ্টার্জিত টাকা পাঠিয়ে নিজ দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখলেও রেমিট্যান্স পাঠাতে গিয়ে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তীব্র গরম উপেক্ষা করে ব্যাংকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অর্থ পাঠাচ্ছেন তারা। ভোগান্তি কমাতে ব্যাংকিং পরিষেবা বাড়ানোর দাবি প্রবাসীদের।