আর্থিক প্রতারণা মামলায় বেশ ভালোভাবেই আটকে পড়েছেন দুই বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ ও নোরা ফাতেহি। সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটি রুপির আর্থিক প্রতারণা মামলায় আবারো নোরাকে পুলিশ জেরা করেছে। গেল বুধবার টানা আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন জ্যাকুলিন, এরপর বৃহস্পতিবার একই ঘটনায় দিল্লি পুলিশের দপ্তরে হাজিরা দিলেন তারকা নোরা ফাতেহি।
ভারতীয় মিডিয়াতে প্রকাশ, নোরাকে একটানা ছয় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দিল্লি পুলিশ। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠান হলো নোরাকে। দিল্লি পুলিশ নোরাকে ঠিক কী কী প্রশ্ন করেছে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। বুধবার জ্যাকুলিনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল সুকেশের কাছ থেকে কী কী দামি উপহার নিয়েছিলেন তিনি। জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ দিল্লি পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার অফিসে পৌঁছন। প্রশ্নের একটি দীর্ঘ তালিকা তৈরি করা হয় তার জন্য।
বলা হচ্ছে সুকেশের জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী সুকেশের ডান হাত পিঙ্কি ইরানি। বৃহস্পতিবার নোরার পাশাপাশি পিঙ্কি ইরানিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সুকেশ চন্দ্রশেখরের নোরা ফাতেহিকে দেওয়া দামি উপহারের মাধ্যম ছিল পিঙ্কি ইরানি। এ কারণে দু’জনকে মুখোমুখি বসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ বিষয়ে দিল্লি পুলিশ জানায় যে, জ্যাকুলিনের সঙ্গে নোরা ফাতেহির সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই কিন্তু পিঙ্কি ইরানির রয়েছে।
পুলিশ ইতোমধ্যেই নোরা ফাতেহিকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বৃহস্পতিবার, পঞ্চমবারের মতো পুলিশের সামনে জবানবন্দি রেকর্ড করেন নোরা। নোরা শুরু থেকেই এ ব্যাপারে পুলিশকে সহযোগিতা করছেন। শেষবার যখন দিল্লি পুলিশ নোরাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল, তাকে অনেক প্রশ্ন করা হয়। সেই সময়ে অভিনেত্রী সুকেশের কাছ থেকে দামি উপহার পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন, তবে তিনি এটাও