নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিমকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা শেষে মুক্তিযোদ্ধার ঘর থেকে জমি বিক্রির ২০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার রাত ১১টা থেকে ২টার মধ্যে ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের মাওলাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম মাওলাবাজার এলাকার মৃত মহব্বত আলীর ছেলে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে লাশ নেওয়া হয়েছে।
নিহতের ছেলে হাফেজ মো. মাসুদ জানান, পরিবারের লোকজন মঙ্গলবার আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে যায়। রাতে তার বাবা নিজ রুমে ও সে তার রুমে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত প্রায় ১১টার সময় ঘুমন্ত অবস্থায় তিনজন লোক তার হাত-পা ও চোঁখ বেঁধে মারধর করে। তার বাবার রুমে কয়জন ছিল তার জানা নেই। তবে দুর্বৃত্তরা রাত ২টায় যাওয়ার সময় জমি বিক্রির ২০ লাখের বেশি টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। দুবৃর্ত্তরা কীভাবে রুমে প্রবেশ করেছেন তা বলতে পারেন না মাসুদ।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার এসআই হুমায়ুন কবির জানান, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে পেলে জানা যাবে মৃত্যুর কারণ। তবে যে ঘরে ঘটনা ঘটেছে, সে ঘরে বাহির থেকে ভেতরে প্রবেশ করার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। ঘরটিতে চারটি সিসি টিভি ক্যামেরা রয়েছে। তবে ক্যামেরার মেশিন থেকে হার্ড ডিক্স খুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রিজাউল হক বলেন, নিহতের এক ছেলে দুই মেয়ে। মেয়েরা স্বামীর বাড়ি থাকেন। ছেলের পরিবারের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম নিজ বাড়িতে থাকেন। ঘটনার সময় ছেলে ও আবদুল হালিম ছাড়া কেউ বাড়িতে ছিলেন না। ঘটনাটি রহস্যজনক। গুরুত্বসহকারে তদন্ত চলছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।