বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) বহুল আলোচিত ফাইনাল আজ। আজ রাতেই পর্দা নামছে প্রায় দেড় মাসব্যাপী চলা এই আসরের। আজই থেমে যাবে চার-ছক্কার এ ঝড়, শেষ হবে দেশ-জুড়ে জমে উঠা এ ক্রিকেট মেলা।
বিপিএলের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখী হবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স। কুমিল্লা মাঠে নামবে নিজেদের চতুর্থ শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে, আর প্রথমবার ফাইনালে পা রেখেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। প্রথমবার ফাইনালে এলেও পিছিয়ে নেই সিলেট, তাদের দলের হাল ধরে আছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। যিনি বিপিএলের চার-চারবারের শিরোপাজয়ী অধিনায়ক।
এবারের আসরের শুরু থেকেই প্রভাব বিস্তার করে খেলে আসছে সিলেট। ওই সাথে একদম প্রথম ম্যাচ থেকেই ধরে রেখেছে শীর্ষস্থান। মাঝে এক রাতের জন্য ফরচুন বরিশালের কাছে শ্রেষ্ঠত্ব হারালেও ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তা পুনরুদ্ধার করে মাশরাফির দল। গ্রুপ পর্বে ১২ ম্যাচের ৯টিতে জয় নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেই কোয়ালিফায়ারে আসে তারা।
১২ ম্যাচে ৯ জয় নিয়ে কোয়ালিফায়ারে আসে কুমিল্লাও। তবে কুমিল্লার উঠে আসার গল্পটা চমকপ্রদ। আসরের প্রথম ৩ ম্যাচে হার তাদের, মনে হচ্ছিল এবার হয়তো আগেই ছিটকে যাবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তবে সবাইকে অবাক করে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। একটা একটা করে জিতে নেয় গ্রুপ পর্বের বাকি সব ম্যাচ। অর্থাৎ প্রথম ৩ ম্যাচে হারের পর টানা ৯ ম্যাচে জয় নিয়ে কোয়ালিফায়ারে যায় কুমিল্লা।
প্রথম কোয়ালিফায়ারে গ্রুপ পর্বের সেরা দু’দল হিসেবে মুখোমুখী হয় সিলেট ও কুমিল্লা। যেখানে কুমিল্লার জয়যাত্রা রুখতে পারেনি সিলেট, টানা ১০ ম্যাচে জয় নিয়ে সবার আগে ফাইনালে পা রাখে ইমরুল কায়েসের দল। এদিকে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার জিতে এসে ফাইনালে ফের কুমিল্লার সম্মুখে মাশরাফি বাহিনী। বলা যায় সেরা দল হিসেবেই শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে তারা মুখোমুখী।
তবে লড়াইয়ের ভেতরেও লড়াই আছে। সিলেটের প্রথম নাকি কুমিল্লার চার, এই প্রশ্ন ছাপিয়ে লড়াইটা যেন দু’দলের অধিনায়কের। দু’জনেই বিপিএলের সেরা অধিনায়ক। আট আসরের ছয় বারই শিরোপা গিয়েছে এই দু’জনের হাতে; চার বার মাশরাফি, দু’বার ইমরুল কায়েস। দু’জনের কেউ এখনো ফাইনালে হারেননি, তবে আজ রাতেই বদলে যাবে এই কীর্তি।
হয়তো কারো নামে লেখা হবে পঞ্চমবার কিংবা কারো নামে লেখা হবে তৃতীয়বার শিরোপা বিজয়ের গল্প। আবার কারো নামের পাশে বসে যাবে প্রথম ফাইনাল হারের ক্ষতও।