ইউক্রেন সোমবার তাদের বাহিনীকে ফাইটার জেট সরবরাহ করার জন্য মিত্রদের ওপর তাদের চাপ অব্যাহত রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এফ সিক্সটিন ফাইটার এই মুহূর্তে ইউক্রেনে সরবরাহ করা উপযুক্ত হবে না- যুক্তরাষ্ট্রের সর্বসাম্প্রতিক এমন মূল্যায়ন সত্ত্বেও ইউক্রেন এই চাপ অব্যাহত রেখেছে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দমিত্রো কুলেবা টুইট করেছেন, ইউক্রেনকে নতুন একটি গুরুত্বপূর্ণ ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করার বিষয়ে প্রতিটি আলোচনা ‘না’ দিয়ে শুরু এবং ‘হ্যাঁ’ দিয়ে শেষ হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার এবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনকে এফ সিক্সটিন দেয়ার প্রশ্নে বলেছেন, আপাতত হচ্ছে না।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভান রোববার এনবিসি-র ‘মিট দ্য প্রেস’-কে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কমান্ডাররা মনে করেন, ইউক্রেনের এখন যা প্রয়োজন তা হলো ‘ট্যাংক এবং সাঁজোয়া কর্মী বাহক এবং পদাতিক সেনা প্রতিরোধী যানবাহন, আর্টিলারি এবং ফ্রন্ট লাইনে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।’
তিনি আরো বলেন, মিত্ররা ইউক্রেনকে সোভিয়েত যুগের মিগ-টুয়েন্টি নাইন এবং এসইউ- টুয়েন্টি সেভেন ফাইটারের খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহ করছে। এগুলো ইউক্রেনের পাইলটরা প্রতিদিন ব্যবহার করে।
সোমবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু বলেছেন, ন্যাটোতে যোগদানের জন্য সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের সাথে আলোচনা আগামী মাসে পুনরায় শুরু হবে।
চাভুসোগলু এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বৈঠকটি ৯ মার্চে হওয়ার কথা।
ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ এই মাসের শুরুতে তুরস্ক সফরের সময় বলেছিলেন, সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড উভয়কেই ন্যাটো সদস্য হিসেবে অনুমোদন করার ‘সময় এসেছে’। শুধুমাত্র তুরস্ক এবং হাঙ্গেরি এখনো তাদেরকে অনুমোদন দেয়নি।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা