বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘আজকে আমাদের মাঝে ঐক্য নেই। ব্রিটিশরা যেমন বিভাজনের মাধ্যমে দেশ শাসন করত। তারা জাতিকে বিভক্ত করে দেশ পরিচালনা করত। তেমনিভাবে আজকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার জাতিকে বিভক্ত করেছে। একজনকে অপরের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দিয়েছে। তারা এভাবে চিরকাল ক্ষমতায় থাকতে চায়। এখান থেকে বেরিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
শুক্রবার রাজধানীর লেডিস ক্লাবে এক ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। বরিশালের শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) প্রাক্তন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল পরিবার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আয়োজকরা জানান, ইফতার মাহফিলটি গুলশানের ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশে লেডিস ক্লাবে করা হয়। অধ্যাপক ডা. রফিকুল কবির লাবুর সভাপতিত্বে ও ডা. ফারুক আহমেদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন- ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম, ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. একেএম আজিজুল হক, অধ্যাপক ডা. শাহাদাত হোসেন, অধ্যাপক ডা. শহীদুল আলম, অধ্যাপক ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. রফিকুস সালেহীন, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল প্রমুখ।
বিএনপির ইফতার কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে মঈন খান বলেন, ‘রমজানের মূল শিক্ষা হলো সংযম। ইফতার করতে গেলে সরকার যদি বাধা দেয় তাহলে সংযম কোথায় রইল? সরকারকে বলব- অন্তত রোজার মাসে সংযম হারাবেন না।’
তিনি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ যে সমস্যার মুখোমুখি সেটা শুধু বিএনপির নয়। এটা দেশের সব মানুষের সমস্যা। এই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বিকল্প নেই।’