দেশবার্তা

অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় দগ্ধ চালকের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৮

ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সে লাগা আগুনে দগ্ধ চালক মারা গেছেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল আটজন। অ্যাম্বুলেন্সটিতে থাকা কেউ বেঁচে নেই।

শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত অ্যাম্বুলেন্সচালকের নাম মৃদুল মালো (২৫)। তিনি ফরিদপুর শহরের গুহলক্ষ্মীপুর এলাকার তকি মোল্যা সড়কের সুভাষ চন্দ্র মালোর ছেলে।

শনিবার (২৪ জুন) বেলা ১১টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার মালিগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাইওয়ের রেলিংয়ে ধাক্কা লাগে অ্যাম্বুলেন্সটির। সাথে সাথেই আগুন ধরে যায়।

নিহত আটজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ, তিনজন নারী ও দুই শিশু।

চালক ছাড়া বাকি সাতজন হলেন ফরিদপুর শহরের গুহলক্ষ্মীপুর এলাকার তকি মোল্যা সড়কের সুভাষ চন্দ্র মালোর ছেলে মৃদুল মালো (২৫), বোয়ালমারীর গুনবাহা ইউনিয়নের ফেলানগর গ্রামের আজিজারের স্ত্রী তসলিমা বেগম (৫০), তসলিমা বেগমের মেয়ে বোয়ালমারীর শেখর ইউনিয়নে মাইট কুমড়া গ্রামের বাসিন্দা আলমগীরের স্ত্রী কমলা (৩০), সেনাসদস্য মাহমুদের স্ত্রী বিউটি (২৬), নিহত কমলার তিন সন্তান আরিফ (১২), হাসিব (১০) ও আফসা (১) ও বিউটির ছেলে মেহেদী (১০)।

ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, সকাল ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাকা থেকে ফরিদপুরের দিকে যাচ্ছিলেন ওই অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রীরা। দ্রুতগামী অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফ্লাইওভারের রেলিংয়ে ধাক্কা লেগে মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা সাত যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

ফায়ার সার্ভিস ভাঙ্গা স্টেশনের ইনচার্জ আবু জাফর বলেন, খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। এ সময় গাড়িটি জ্বলছিল। ভেতরেই নারী-শিশুসহ সাতজন মারা গেছে। গাড়িটির সামনের অংশে আগুন ধরে গিয়েছিল। রেলিংয়ে ধাক্কা লেগেই আগুন ধরে যায়। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে গাড়ির ভেতর থেকে সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।