মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণে প্রতি থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
রোববার (২০ আগস্ট) বিকেলে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেছেন, আজকে সারাদেশে ভীতি সঞ্চার করা হচ্ছে। কেউ কথা বলতে পারবে না। সবাই ভয় ও আতঙ্কের মাঝে আছে। এসব কারণে মানুষের মাঝে আজ হতাশা বিরাজ করছে। আমরা কোন সমাজে আছি, সকল অধিকার থেকে আমরা বঞ্চিত। তাদের বানানো সংবিধান অনুযায়ী আমাদের নির্বাচন করতে হবে! দেশটা কি মগেরমুলুকে পরিণত হয়েছে! সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প পথ সরকারের খোলা নেই।
সালাম বলেন, যেখানে মামলা হলে কোর্টে হাজির হই তবে কেন আতঙ্ক সরানো হচ্ছে। বিএনপির অধিকাংশ নেতারা জামিনে থাকা সত্ত্বেও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। বিএনপি কি নিষিদ্ধ দল! আওয়ামী লীগ চেয়েছিল ক্যাসিনিও যুবলীগের মাধ্যমে বিএনপিকে বিএনপিকে দমন করার। তাদের সোনার ছেলেরা সারাদেশে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, আজকে দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন আছে? থাকলে মজনু, রবিনসহ বিরোধী নেতারা জেলে থাকতো না। জেল থেকে মুক্তি পেলে আবার কারাগারের গেটে আটক করা হচ্ছে। আজকে প্রশ্ন এসেছে আমরা কি বেঁচে থাকতে পারবো? আজকে যিনি আওয়ামী লীগ প্রধান তিনি সরকার প্রধান। তিনি যে ভাষায় কথা বলেন সেটা তিনি কোন পদে থেকে কথা বলছেন?
আব্দুস সালাম বলেন, আজকে কি কারণে রবিনকে ঘেরাও করে আটক করা হলো? এর জবাব কে দেবে? আজকে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ও রাষ্ট্রীয় পদে কর্মকর্তারা যে ভাষায় এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ছবক দেন, তারা কি স্বাভাবিক মানুষ! এরচেয়ে ভালো বলে দিন বিএনপি এদেশে রাজনীতি করতে পারবে না। যারা জনগণের মৌলিক অধিকার ও রাষ্ট্র সেবার শপথ নিয়েছেন তারাও আওয়ামী ভাষায় কথা বলছেন।