নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে তিন বিদেশী সাক্ষীকে দেশে আসার অনুমতি দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষে বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ আবেদন করেন।
তিনি বলেন, বিদেশী সাক্ষীকে দেশে আসার অনুমতি এখতিয়ার বহির্ভূত। আমরা এই অনুমতির আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেছি।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে তিন বিদেশী সাক্ষীকে দেশে আসার অনুমতি দেন আদালত। তিন সাক্ষীর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) একজন এবং কানাডার রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশের দুই কর্মকর্তা রয়েছেন।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ অনুমতি দেন।
এর আগে তাদের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা আদালতে জমা দেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তবে বিদেশী সাক্ষী আনার বিষয়ে আপত্তি দেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
গত ১২ সেপ্টেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বিদেশী সাক্ষীদের আদালতে হাজির করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন।
ওইদিন বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান দুদকের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলমের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এর আগে গত ২৩ মে তার বক্তব্যের একটি অংশ রেকর্ড করেন আদালত।
এছাড়াও মামলার দুই আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ও ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়ার পক্ষে কয়েক দফায় সাক্ষীর জেরা শেষ হয়।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সাথে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করা হয়।
২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়।