দেশবার্তা

বাগেরহাটে উপ-সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ দূর্নীতির অভিযোগ

বাগেরহাট থেকে রুহুল আমিন বাবুঃ বাগেরহাটে শরনখোলা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসের উপ-সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ দূর্নীতিসহ একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে শরনখোলা উপজেলার একাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধারা জানান, মো: রফিকুল ইসলাম শরণেখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসে কর্মরত থেকে বেপরোয়াভাবে ঘুষ দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে সাধারন মানুষের জীবন অতিষ্ট করে তুলেছে। ঘুষ দুর্নীতিসহ নীরিহ ও সাধারণ মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন অশোভন আচরণ করাই তার চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট। তিনি নিজেকে বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়ের কর্মচারী পরিচয় দিয়ে জনসাধারনকে হুমকি দিয়ে আতঙ্কগ্রস্থ করে থাকে। সে দীর্ঘদিন কমিশনার অফিসে চাকরী করায় দেশের ক্ষমতাধর বহু সচিবের সাথে সম্পর্ক আছে বলেও সচারাচার সাধারণ মানুষকে ভয় দেখায়। তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বা ইউএনও কিছুই করতে পারবে না বলে সাধারন মানুষকে হুমকি দেয়। তার ভয়ে এলাকার কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় না। ইতিপূর্বে ঘুষ ও দুর্নীতির দায়ে মো: রফিকুল ইসলামকে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসে প্রেষণে বদলী করা হয়। পরবর্তীতে তাকে বিভাগীয় মামলায় দোষী সাব্যস্থ করে গুরুদন্ডে দন্ডিত করা হয় । পরবর্তীতে সে উক্ত কর্মচারী উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আপীল করায় মানবিক কারনে তার দন্ড মৌকুফ করা হয়।
শরনখোলা উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মনিরুজ্জামান হারেজ বলেন, মো: রফিকুল ইসলাম উপজেলায় সেবা গ্রহণের জন্য আগত সকল শ্রেণী ও পেশার ব্যক্তিদের সাথে সর্বদা খারাব আচরন করে এবং যে কোন কাজের জন্য ঘুষ দাবী করে থাকেন। ঘুষ ছাড়া তিনি কোন প্রকার সেবা প্রদান করতে চায় না। বিভিন্ন প্রকার ভাতাভোগীসহ বীর মুক্তিযোদ্ধারাও তার ঘুষে দুর্নীতির কবল থেকে রক্ষা পায় না। সরকার কর্তৃক মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন লোকদের আবসনের লক্ষে প্রদত্ত ঘর প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিটি ঘর বাবদ তিনি সুবিধাভোগীদের নিকট হতে ৫ হাজার ১০ হাজার টাকা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস নির্মান জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট হতে ঘর প্রতি ৫০ হাজার টাকা করে ঘুষ গ্রহণ করেছে।
শরনখোলা উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হেমায়েত উদ্দিন বাদশা বলেন, মো: রফিকুল ইসলাম ঘুষ ছাড়া কোন কাজই করেন না। এ ছাড়া অফিসে সেবা গ্রাঙ্গনে আগত নারী ও ভদ্রমহিলাগণ তার কাছে সেবা নিতে আসলে তিনি তাদের নানা প্রকার কৃপ্রস্তাব দিয়ে থাকে। তাছাড়া তার বিনা অনুমতিতে কেহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করতে পারেনা। তার এসকল কর্মকান্ডে ক্রমশ দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য পরিনিত হয়েছে। তাছাড়া তিনি এলাকার কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ও নিজ কর্মকর্তাকে নানাবিধ অবৈধ সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। ফলে তারা তার সকল অপকর্মে সহযোগীতা করে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ বা অভিযোগ হলে তারা তাকে ঢাল হিসেবে রক্ষা করে থাকে। তার অপকর্মের বিষয়ে জেলা প্রশাসনে যোগাযোগ করা হলেও কোন প্রতিকার না আসায় আমাদের সাধারন জনগনকে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ সুষ্ঠু ভাবে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এ বীর মুক্তিযোদ্ধা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শরনখোলা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসের উপ-সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম বলেন আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।